বিশ্বে দেশীয় সংস্কৃতি তুলে ধরতে চান বারিশ হক
বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছেন এ দেশের তরুণরা। প্রবাসে গিয়েও অনেক শিক্ষার্থী নিজ নিজ প্রতিভায় উজ্জ্বল করছেন বাংলাদেশের নাম। তেমনই একজন ঢাকার মেয়ে বারিশ হক। প্রবাসে গিয়েও যিনি ভুলে যাননি নিজের দেশের সংস্কৃতিকে। বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে কখনো কবিতার ভাষায়, আবার কখনো তুলির আঁচড়ে চিত্রিত করছেন অন্যদের সামনে।
বারিশ নৃত্য শুরু করেন ২০১০ সালে। মডেলিং জগতে প্রবেশ ২০১৩-তে। আইইউবি (ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ) থেকে মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিষয়ে করেছেন স্নাতক। বর্তমানে স্নাতকোত্তর করছেন মালয়েশিয়ায়। চলতি বছর পেশাদার এই নৃত্যশিল্পী র্যাম্প মডেল হিসেবে মাতিয়েছেন মালয়েশিয়া। বুলবুল ললিতকলা একাডেমির (বাফা) নাচে প্রশিক্ষিত বারিশ অভিনয়েও বেশ পারদর্শী। বিটিভির ডিবেট কম্পিটিশনের শ্রেষ্ঠ বক্তা হিসেবে ক্যামেরার সামনে আসার পর আর থেমে থাকেননি। বাফায় নাচ শেখার পর পরই তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেন। বাংলাদেশের সব চ্যানেলেই তাঁর কাজ করা হয়েছে। ফ্যাশন হাউস ‘দেশীদশে’র নিয়মিত মডেল তিনি। ‘বাংলাদেশ আইডল’ ফাইনাল রাউন্ড মনে আছে নিশ্চয়? বিজয়ী মং-এর সঙ্গে তিনি সহকারী নৃত্যশিল্পী হিসেবে ছিলেন।
অল্প সময়ে বারিশ মালয়েশিয়া ইউনিভার্সিটিতে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে পরিবেশনা করে প্রবাসী দর্শকদের নজর কেড়েছেন। বারিশ হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘নিজ দেশের তুলনা কখনই হয় না, কিন্তু দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে এসে একটা ভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে। সেটা হলো, এখানে বিশ্বের অনেক দেশের ছেলেমেয়ের সঙ্গে মেশার সুযোগ হয়েছে। বিদেশি শিক্ষার্থীর সঙ্গে মিশে একদিকে যেমন বিদেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারছি, অন্যদিকে আমার দেশের সংস্কৃতির সঙ্গেও তাদের পরিচিত করতে পারছি। এতে আমার বিশাল একটা অভিজ্ঞতা যোগ হয়েছে। ভিনদেশি শিল্পীর সঙ্গে স্টেজ পারফর্ম ভিন্ন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হচ্ছে। বড় বড় ইভেন্টে পারফর্ম করেছি।’
এবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরতে চান।
বারিশ হক বলেন, মাস্টার্স করার কারণে চাইলেও বিরতিহীন কাজ করতে পারেন না। সম্প্রতি একটি শোতে সেরা মডেল হিসেবে অ্যাওয়ার্ড নিতে যাওয়া হয়নি দেশের বাইরে থাকার কারণে। বিভিন্ন ইভেন্টের বিশেষ অতিথি করা হলেও থাকতে পারেননি। পড়াশোনার জন্য অনেক কিছু ত্যাগ স্বীকার করে যাচ্ছেন।
এই নৃত্যশিল্পী আরো বলেন, ‘বাংলাভিশনের ধারাবাহিক ও অনেক মিউজিক ভিডিও বাদ দিতে হয়েছে। আমি আমার পড়াশোনার কোনো ক্ষতি করতে চাই না। দেখুন আমাদের মিডিয়ায় শক্ত অবস্থানে থাকা আর্টিস্টরা অনেকেই ঝরে পড়ছে। আমি সেটা ভাঙতে চাই। আমি আইইউবি থেকে মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনের ওপর গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি। এখন মিডিয়া নিয়ে মাস্টার্স করছি। তবে আমি কাজের ব্যাপারে খুব সতর্ক হয়ে গেছি। অনেক কাজের প্রস্তাব আসছে আমার কাছে তবে আমি তা থেকে স্পেশাল কাজগুলো করছি।’
বাংলাদেশের সব চ্যানেলেই বারিশের কাজ করা হয়েছে। ফ্যাশন হাউস ‘দেশীদশ’-এর নিয়মিত মডেল তিনি। এটিএন বাংলার উপস্থাপিকা হিসেবে ‘নূপুরের ছন্দে’, মাইটিভির ‘গানের সুরে মাতো' অনুষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।