জেনেভায় বাংলাদেশ মিশনে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকী পালিত

Looks like you've blocked notifications!
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান। ছবি : বিজ্ঞপ্তি

গভীর শোক, শ্রদ্ধা ও যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্য দিয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়েছে। জেনেভায় জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং সুইজারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন এবং  জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন।

দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ ও ‘চিত্রমালায় শোকগাথা’ শীর্ষক দেয়াল পত্রিকা ও দেয়াল আলেখ্য প্রকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন দিবসটি পালনে এক ব্যতিক্রমী মাত্রা যোগ করে। দেয়াল পত্রিকায় স্থান পায় বঙ্গবন্ধুর তিনটি ঐতিহাসিক ভাষণ, তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র নির্বাচিত অংশ, স্ত্রী ও কন্যাকে লেখা দুটি চিঠি এবং তাঁকে উদ্দেশ করে নিবেদিত বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়ার কিছু বাণী। এছাড়া, স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনের উল্লেখযোগ্য কিছু আলোকচিত্র দিয়ে সাজানো হয় দেয়াল-আলেখ্যটি। রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান দেয়াল পত্রিকা ও দেয়াল-আলেখ্যটি উদ্বোধন করেন।

দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতেই বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীগুলো পাঠ করা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং জাতির জনকের জীবন ও কর্মের ওপর উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত কবিতা ও প্রবন্ধ পাঠ করে শোনান। 

রাষ্ট্রদূত আহসান তাঁর বক্তব্যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথ পরিক্রমায় সংঘটিত বিভিন্ন রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘‘চারিত্রিক গুণাবলীর সাথে রাজনৈতিক ধী-শক্তির সংমিশ্রণে একদিকে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন ‘রাজনীতির কবি’। অন্যদিকে, তিনি সহস্র বছরের পুরোনো একটি নৃগোষ্ঠীর মধ্যে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটিয়ে তাদেরকে সংঘবদ্ধ করেছেন এবং সুদীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে শোষিত একটি জাতিকে স্বাধীন জাতিতে রূপান্তরিত করেছেন। তাই, তিনি অসংগঠিত একটি জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্রকামনা বাস্তবায়নের রূপকার এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি।’’

রাষ্ট্রদূত জাতির জনকের মহান আদর্শ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে সবাইকে তাঁদের প্রয়াস অব্যাহত রাখতে বলেন।  

পরিশেষে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা এ সব অনুষ্ঠানে যোগ দেন।