অস্ট্রেলিয়ায় হাইকমিশনের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ

Looks like you've blocked notifications!
অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শারণার্থীদের জাল ভ্রমণ ভিসা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেখানকার বাংলাদেশের হাইকমিশনের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। নকল ভিসার নমুনা। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের জাল ভিসা প্রক্রিয়াকরণে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা হাইকমিশনের প্রথম সচিব নাজমা আক্তারের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের জাল ভ্রমণ ভিসা দিয়েছেন।

অভিযোগ উঠার পর সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে নাজমা আক্তারকে ঢাকায় ফেরত পাঠাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে এনটিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়া হাইকমিশনে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, বর্তমানে সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান ছুটিতে রয়েছেন।

তবে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার তারেক আহমেদ এ ব্যাপারে বলেন, ‘এরই মধ্যে নাজমা আক্তারের ব্যাপারে অফিশিয়াল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের  মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে ঢাকা থেকে তাঁকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব শামীমা পারভীন তাঁর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন। এ ছাড়া কোনো কর্মকর্তার ব্যক্তিগত অপরাধ আমাদের হাইকমিশনের কাজে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’

তবে এ ব্যাপারে নাজমা আক্তারের বক্তব্য জানার জন্য এনটিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে তাঁর মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। পাশাপাশি খুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি এর জবাব দেননি।

হাইকমিশনের সূত্র জানায়, গত বছরের ২০ ডিসেম্বর নাজমা আক্তারের বিরুদ্ধে জাল ভিসার অভিযোগ উঠে। সেদিন অস্ট্রেলিয়া থেকে ছয়জন রোহিঙ্গা শরণার্থী ভ্রমণ ভিসা নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পরে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন এবং কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শুরু করেন।  রোহিঙ্গাদের পরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়। সেই সূত্র ধরেই জাল ভিসার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। ভিসাগুলোতে নকল সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।

তার পরই বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানায়। পাশাপাশি বিষয়টি অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশকেও জানায় রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। পরে হাইকমিশনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চায় অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ। উভয় দেশই এখন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে।