কুয়েতপ্রবাসী নিবেদিতপ্রাণ শিল্পী কাইয়ুম বাহার
দেশের মতো প্রবাসেও আছেন নিঃস্বার্থ-নিবেদিত অনেক বাংলাদেশি, যাঁরা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন নীরবে। আত্মতৃপ্তিই তাঁদের খোরাক। কুয়েতে এমন একজন বাংলাদেশি হলেন প্রবাসী চিত্রশিল্পী জহুরুল কাইয়ুম বাহার (৫৭)।
কুয়েতপ্রবাসী বাংলাদেশিদের সন্তানদের বিনামূল্যে ছবি আঁকা, বাংলা শিক্ষা, নৃত্য, নাট্য, সাহিত্যসহ বাংলা সংস্কৃতির বিভিন্ন বিষয় শেখান কাইয়ুম বাহার।
জীবিকা নির্বাহে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকের মতো কাইয়ুম বাহারও পাড়ি জমান বিদেশে। ১৯৮৮ সালে কুয়েতে যান কাইয়ুম বাহার। প্রবাসে কর্মব্যস্ততার মধ্যেও নিজের শখ ছবি আঁকা ছাড়তে পারেননি তিনি।
১৯৯৬ সালে ছোট আকারে বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছায় শ্রম দেওয়া প্রবাসীকে নিয়ে বঙ্গরূপা চারুকারু সংগীত শিশু মেলা নামে একটি সংগঠনের কার্যক্রম শুরু করেন কাইয়ুম বাহার। বর্তমানে কুয়েতের বিভিন্ন অঞ্চলে ওই প্রতিষ্ঠানের ১২টির বেশি শাখা। সবকটি শাখায় বিনামূল্যে ছবি আঁকা, বাংলা শিক্ষা, নৃত্য-নাট্য, সাহিত্যসহ বাংলা সংস্কৃতির শিক্ষা দেওয়া হয়।
প্রবাসে বিনামূল্যে সন্তানদের বাংলা সংস্কৃতি শিক্ষা দিতে পেরে আনন্দিত অভিভাবকরা। আবদুল হাই মামুন, বাবুল দাস, মোজাহিদ, নিহির কান্তি পাল, নাসরিন আক্তার মৌসুমী, নূপুর বিশ্বাস, এ কে এম আরিফসহ কয়েকজন অভিভাবক সম্মান করেন জহুরুল কাইয়ুম বাহারকে।
কাইয়ুম বাহারের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী সদর উপজেলার উজ্জ্বলপুর গ্রামে। পিতা মরহুম মৌলভী মোহাম্মদ সেরাজুল হক মিয়া ছিলেন নোয়াখালী আদালতের কর্মচারী।
কাইয়ুমের মা জহুরুন্নেছা ছিলেন নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তৃতীয় কাইয়ুমের ছবি আঁকার হাতেখড়ি মায়ের কাছে। কুয়েতের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির প্রথম থেকেই সেখানে কর্মরত কাইয়ুম বাহার। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের বাবা তিনি।