আপনার জিজ্ঞাসা

আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় কী?

Looks like you've blocked notifications!

নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবন ঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। 

আপনার জিজ্ঞাসার ২৯১৬তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে হারুন চৌধুরী জানতে চেয়েছেন,আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় কী? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ।

প্রশ্ন : আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় কী? 

উত্তর : ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য। আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে হলে কিছু বিষয় অপরিহার্য। যেগুলোর একটি ছুটে গেলে তার সাধনা পূর্ণ হবে না। এইগুলো কেউ বাদ দিয়ে চেষ্টা করলে তিনি ব্যর্থ হবেন। প্রথমমতো, ঈমান ও আকিদার ওপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে। আল্লাহ ও রাসুল (সা.) এর সম্পর্কে যেভাবে জানিয়েছেন ঠিক সেভাবেই বিশ্বাস করবেন। দ্বিতীয়ত, ফরজ ইবাদতগুলোকে বাদ দিয়ে কিংবা বর্জন করলে নৈকট্য লাভ করা যাবে না। ফরজ বাদ দিয়ে যতই নফল ইবাদত কিংবা যাই করেন কোনো লাভ হবে না। তাই অবশ্যই ফরজ ইবাদত করতে হবে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে বান্দার হক পূরণ করা। এই কাজগুলোর পর ফরজ সিয়াম আদায়, জাকাত আদায় করতে হবে, নফল ইবাদতও করতে হবে। ইবাদত করতে করতে তখন আল্লাহই ভালোবাসবেন। বান্দা তো আল্লাহকে ভালোবাসবেনই তখন আল্লাহও ভালোবাসবেন। এর জন্য অধিক পরিমান নফল রোজা ও নফল নামাজ পড়া উচিত। এ ছাড়া রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহর তালার কোনো বিধান ভাঙা যাবে না। আল্লাহকে সর্বদা ভয় করতে হবে। রাসুল (সা.) আরও উপদেশ দিয়েছেন যে, কোনো খারাপ কাজ যদি হয়ে যায় তাহলে সাথে সাথেই একটি ভালো কাজ করে নিতে। এভাবে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। এ ছাড়াও বিশেষ কিছু আমল আছে সেগুলো করবেন। যেমন—রাতের নামাজ, জুমার সালাতে সবার আগে যাওয়া, অজুর পর তাহিয়াতুল অজুর সালাত পড়বে, অধিক পরিমানে তওবা করবে এইগুলোতে আল্লাহ অনেক বেশি খুশি হন তখন নৈকট্য লাভ করা যায়।