আপনার জিজ্ঞাসা
একজন মুসলিমের মৃত্যুর পর দাফন পর্যন্ত কী কী কাজ করা হয়?
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৯৫৫তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে ঢাকা থেকে আবু তায়েব জানতে চেয়েছেন, একজন মুসলিমের মৃত্যু পর দাফন পর্যন্ত কী কী কাজ করা হয়? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ।
প্রশ্ন : একজন মুসলিমের মৃত্যুর পর দাফন পর্যন্ত কী কী কাজ করা হয়? এবং দাফনের পর সুন্নাহ অনুযায়ী কী কী কাজ থাকে?
উত্তর : ধন্যবাদ আপনার প্রশ্নের জন্য। ভালো প্রশ্ন করেছেন আপনি। এটি অনেক বড় প্রশ্ন। এক্ষেত্রে কিতাব পড়ার কথা বলব আপনাকে। যেখানে অনেক বিস্তারিত আলোচনা থাকে। তবে সংক্ষেপে বলব, মুসলিম ব্যক্তির মৃত্যুর পর প্রথম কাজ হলো ওয়ারিশরা তাকে দ্রুত দাফনের ব্যবস্থা করবেন। এখানে গোসল নিয়েও বিশাল আলোচনা রয়েছে। এটি ছোট করে বলার বিষয় নয়। তাকে সুন্নাহ অনুযায়ী গোসল করাতে হবে। গোসলের পর কাফনের ব্যবস্থা করতে হবে। এরও সুন্নাহ তরিকা আছে। এরপর বাধ্যতামূলক হলো, জানাজা। মুসলিম মৃত ব্যক্তির অবশ্যই জানাজা হবে। এরপর দাফনের ব্যবস্থা করতে হবে। এই দাফনের কাজে অনেক বিদআত আমাদের সমাজে জড়িয়ে আছে। এখানে বিদআতের মধ্যে একটি হল, জানাজার সালাতের দোয়া করার পর আবার মোনাজাত দেয়া হয়, যেটার দরকার নেই। এটা বিদআত। আবার দেখা যায়, মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়ার সময় ৪০ কদম গুণে নেওয়া হয়। এটিও ভুল। মৃত ব্যক্তিকে যত দ্রুত নেওয়া হবে ততই ভালো। এখানে ৪০ কদমের বিষয়টি বিদআত। এরপর দাফনের পরও দেখা যায় সবাই মিলে দোয়া করে এটাও ভুল। এখানে এক সঙ্গে মিলে দোয়ার কিছু নেই। কেউ চাইলে নিজে নিজে করতে পারেন। কেউ আবার চাইলে তাতে অংশ নিতে পারেন। তাতে মানা নেই। তবে প্রথা মেনে নিয়ে সম্মিলিত দোয়ার রীতি নেই। এছাড়াও আরো অনেক বিদআত প্রচলিত আছে। দাফনের পর সঙ্গে সঙ্গেই চলে না আসা উচিত। দাফনের পর কিছুক্ষণ কবরের পাশে থাকা উচিত। দোয়া করা উচিত। এই সময় মৃত ব্যক্তির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারেন। এটা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা আছে। সেটা আপনি পড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।