আপনার জিজ্ঞাসা
শাড়ি না পরাই কি উত্তম?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। আপনার জিজ্ঞাসার ১৯১৩তম পর্বে শাড়ি না পরা উত্তম কি না, সে সম্পর্কে ঢাকার দক্ষিণ দনিয়া থেকে চিঠিতে জানতে চেয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দর্শক। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : শাড়ি পরা আদত। তবে কি এটা না পরাই উত্তম?
উত্তর : আপনি ঠিকই বলেছেন, শাড়ি পরা একটি আদত। কোনো কোনো অঞ্চলে শাড়ি পরা হয়ে থাকে। কোনো অঞ্চলে সালোয়ার-কামিজ পরা হয়ে থাকে। কোনো কোনো অঞ্চলে গাউন টাইপের ম্যাক্সি পরা হয়ে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় নানা ধরনের পোশাক আছে। এগুলো পুরাটাই জায়েজ। তবে যেটাই পরেন না কেন, ওই পোশাকের মাধ্যমে নিজের ইজ্জত এবং আব্রু কিন্তু ঢাকতে হবে। সৌন্দর্য ঢাকতে হবে।
শাড়ি পরে আপনার সৌন্দর্য যদি ঢাকতে পারেন, তাহলে শাড়ি পরলেও কোনো অসুবিধা নেই। এখানে কিছুসংখ্যক বন্ধু আমাদের বোনদের মধ্যে একটা বিষয় ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। সেটা হলো, সালোয়ার-কামিজ পরাটা সুন্নত অথবা উত্তম শাড়ি পরার চেয়ে। এ বক্তব্যটা শুদ্ধ নয়। কারণ শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ যেটাই পরেন না কেন, সৌন্দর্য না ঢাকলে আপনি গুনাহগার হবেন। এ ক্ষেত্রে অনেকে ব্যক্তিগত পছন্দটা চাপিয়ে দিতে চাইছেন। সালোয়ার-কামিজ উত্তম হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এ কথা সত্য যে যদি সেভাবে বানানো হয়, তাহলে সালোয়ার-কামিজে হয়তো ফুল গাউনের মতোই সব ঢাকা যায়। কিন্তু শাড়ি হয়তো যারা পরতে জানে না, একটু অসচেতন হলে তাদের জন্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।
কিন্তু একটাই কথা, সেটা হলো, আপনার আওরাত, লজ্জাস্থান এবং আপনার সৌন্দর্য যদি আপনি না ঢাকেন; শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ এবং গাউন পরলেও আপনার জন্য জায়েজ নেই। কিন্তু যদি পুরোটা ঢাকতে পারেন, তাহলে সবগুলো পরলেই জায়েজ।
একটা থেকে অন্যটাকে উত্তম বলতে হলে শরিয়তের দলিল দরকার হবে। কারণ, পোশাক তো সবগুলোই মোবাহ বা বৈধ। যেহেতু সেই দলিল নেই, তাই এ বক্তব্য না দিয়ে এটা বলতে পারেন যে, সালোয়ার-কামিজে সৌন্দর্য ঢাকার কাজটি উত্তমভাবে হতে পারে।