আপনার জিজ্ঞাসা
মিলাদ মাহফিল, কুলখানি কি জায়েজ?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
বিশেষ আপনার জিজ্ঞাসার ১৩তম পর্বে টেলিফোনে মিলাদ মাহফিল, কুলখানির বৈধতা সম্পর্কে পাবনা থেকে জানতে চেয়েছেন আনিসুর রহমান। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : আমাদের সমাজে কিছু অনুষ্ঠান হয়, যেমন—মিলাদ মাহফিল, কুলখানি। এ জাতীয় অনুষ্ঠান যাঁরা পরিচালনা করেন, বিশেষ করে আলেম সমাজ, তাঁদের এটা করা কি উচিত হচ্ছে? আর এদের পেছনে কি সালাত আদায় করা জায়েজ?
উত্তর : প্রথম কথা হচ্ছে, এই কাজগুলো ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী জায়েজ নয়। শরিয়ার কোনো বিষয় যদি ইবাদত হিসেবে কেউ করতে চায়, তাহলে তাঁকে অবশ্যই এর জন্য দলিল দিতে হবে। কারণ, ইবাদত দলিলভিত্তিক, ওহিভিত্তিক। কোরআন, সুন্নাহর ভেতর এর অনুমোদন দেওয়া আছে কি না। যদি অনুমোদন না থাকে, তাহলে তিনি তাঁর প্রবৃত্তির অনুসরণ করছেন। তিনি যেটাই বলুন না কেন, ধর্মের নামে তিনি প্রবৃত্তির অনুসরণ করছেন।
এসব কাজ যাঁরা করছেন, তাঁদের অনেকেরই এ বিষয়ে জ্ঞান নেই। এ বিষয়গুলো সম্পর্কে সেই ধরনের পড়ালেখা, ইসলামে ইবাদত যে কীভাবে সাব্যস্ত হয়ে থাকে, শর্ত কী, সে বিষয়গুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান তাঁদের নেই। ফলে তাঁরা এগুলো গড্ডালিকা প্রবাহে, পার্থিব কিছু স্বার্থের জন্য, নিছক কিছু অর্থনৈতিক সুবিধার জন্য এ ধরনের কাজ করে যাচ্ছেন। তাই এদের পেছনে সালাত আদায় করা হারাম নয়, নিষিদ্ধ কাজ নয়, সালাত আদায় হয়ে যাবে।
এসব ব্যক্তির সালাত, ইবাদত বিদআত ও শিরকের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এঁদের সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো জানেন। তাঁদের বিষয়টি গ্রহণ হবে কি হবে না, সেটা আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা ভালো জানেন। কিন্তু আল্লাহতায়ালা এ ধরনের কাজ, ইবাদতের মধ্যে শিরকের মিশ্রণ, বিদআতের মিশ্রণ এই ইবাদত গ্রহণ করেন না।