আপনার জিজ্ঞাসা
অমুসলিম কোম্পানির পণ্য ব্যবহার কি জায়েজ?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ১৮৬৯তম পর্বে চিঠিতে অমুসলিম কোম্পানির পণ্য ব্যবহার করা জায়েজ কি না, সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দর্শক দক্ষিণ দনিয়া, নূরপুর, ঢাকা থেকে। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : অমুসলিম কোম্পানির পণ্য, যেমন—খাবার, প্রসাধনী কি আমরা ব্যবহার করব? যদিও জানি না, তাদের পণ্য তৈরির উপাদান সম্পর্কে। পণ্যের গায়ে উপাদান লেখা থাকে, কিন্তু আমরা তো সব উপাদানের সঙ্গে পরিচিত নই।
উত্তর : অমুসলিম কোম্পানির পণ্য ব্যবহার করা জায়েজ। শর্ত হলো, এ পণ্যগুলোর ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হবে যে এটি হালাল বা বৈধ কি না। অধিকাংশ অমুসলিম কোম্পানির বর্তমানে হালাল সনদ থাকে এবং তারা তাদের পণ্যের গায়েই সে বিষয়টি নিশ্চিত করে দেয় যে এটি হালাল প্রক্রিয়ায় উৎপাদন করা হয়েছে। যদি এটুকু লেখা থাকে, তাহলে আপনার জন্য জায়েজ আছে আপনি সেটাকে অনুসরণ বা গ্রহণ করতে পারেন।
তবে সেখানে যে উপাদান আছে, সেগুলো আপনাকে দেখতে হবে। উপাদানগুলো লেখা থাকে। সেগুলো বৈধ কি না, সেটা জেনে নিতে হবে। বর্তমান সময়ে চলতে গেলে দেখা যায় অনেক বিষয়ের সঙ্গে আমরা পরিচিত নই, সেগুলো আমাদের জেনে নিতে হবে। উপাদানগুলো জেনে নেওয়ার পর আপনি যদি দেখেন, সেখানে হারাম কোনো জিনিস নেই, তাহলে সেটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
বিশেষ করে, আমার ধারণা এমন কোনো পণ্য বাজারে নেই, যেখানে উপাদান সম্পর্কে লেখা থাকে না। সেখানে বিস্তারিত লেখা আছে। এই লেখার ওপর নির্ভর করে আপনি হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন, কতটুকু আমি নির্ভর করতে পারব? অর্থাৎ এর ওপর কতটুকু আস্থা আছে? এর ওপর নির্ভর করলেই আপনার শরিয়তের বিধানের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবে।
এ নিয়ে আপনাকে আর কোম্পানির কারখানায় যাওয়ার দরকার নেই। কারখানায় গিয়ে যারা তৈরি করছে, তাদের জিজ্ঞেস করার দরকার নেই। অর্থাৎ বিষয়টাকে বেশি কঠিন করার দরকার নেই এবং নিজের ওপর এত বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই। কারণ, ইসলাম খুবই সহজ। এতটুকু বিশ্বাস করতে হবে। তারা যে উপাদান রেখেছে, তার ওপর নির্ভর করে আপনি যদি দেখেন সেগুলো বৈধ এবং হারাম কিছু নেই, তাহলে সেটা ব্যবহার করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।