পিএইচপি কুরআনের আলো : কে হচ্ছেন সেরাদের সেরা, জানা যাবে আজ

দেশ-বিদেশে সাড়া জাগানো পিএইচপি কুরআনের আলো ২০২৫ অনুষ্ঠানটি এবার ১৭ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সারা দেশ থেকে প্রতিযোগীদের বাছাই করে চারজনকে ফাইনাল রাউন্ডের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। এবারের আসরে কে হতে যাচ্ছেন সেরাদের সেরা তা জানা যাবে আজ বিকেলে।
আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে পিএইচপি কুরআনের আলো প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার এনটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
চারজন প্রতিযোগী হলেন—হাফেজ মুহাম্মদ মুহিবুল্লাহ মাসুম (মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা, ঢাকা), হাফেজ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল সানিম (আর রায়হান ইন্টারন্যাশনাল হিফজ মাদ্রাসা), হাফেজ মুহাম্মদ শোয়াইবুর রহমান (নেত্রকোনা জামালুল কুরআন মাদ্রাসা) ও হাফেজ মুহাম্মদ হুসাইন আহমদ (জামালুল কুরআন মাদ্রাসা, ঝিনাইদহ)।
শাহ ইফতেখার তারিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হিফজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়িখ আব্দুল হক, আন্তর্জাতিক হাফেজ ক্বারি সিলেকশন বোর্ডের হাফেজ ক্বারি জহিরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক হাফেজ শোয়াইব আল আজহারী, বায়তুল মোকাররম মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মো. মিজানুর রহমান।
টেলিভিশনভিত্তিক সর্ববৃহৎ জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা পিএইচপি কুরআনের আলোর চার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে প্রধান প্রতিযোগীকে বাছাই করা হবে। প্রথম থেকে ক্রমান্বয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান নির্ধারণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রথম প্রতিযোগীকে দেওয়া হবে চার লাখ টাকা, দ্বিতীয় প্রতিযোগী পাবে তিন লাখ টাকা, তৃতীয় প্রতিযোগী দুই লাখ টাকা এবং সর্বশেষ ও চতুর্থ প্রতিযোগীকে সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হবে এক লাখ টাকা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ সুফি মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ও এনটিভির পরিচালক আলহাজ্ব নুরুদ্দীন আহমেদ।
এ বিষয়ে অনুষ্ঠানটির পরিচালক সাইফুল্লাহ সাইফ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সারা দেশের হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় থেকে বাছাই করে আমরা টিভি অনুষ্ঠানের জন্য ৩৯ জনকে চূড়ান্ত করি। সেখান থেকে মাত্র চারজনকে বাছাই করা অনেক কঠিন কাজ ছিল। আমাদের বিচারকেরা এবং এ অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে ফাইনাল পর্যায়ে আসতে পেরেছি।’