জুমাতুল বিদা আদায়, মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া

জুমাতুল বিদা আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) আরবি ১৪৪৬ হিজরির রমজান মাসের শেষ জুমায় মসজিদে মসজিদে ঢল নেমেছিল মুসল্লিদের। মসজিদে মসজিদে মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করা হয়। আরবিতে ‘বিদা’ শব্দের অর্থ শেষ। ‘জুমাতুল বিদা’ অর্থ শেষ জুমা।
রমজান মাস ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসের প্রতিটি দিনই ইমানদারদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ। আর শুক্রবার বা জুমা অন্যান্য দিনগুলোর তুলনায় আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
জুমাতুল বিদা উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঢল নেমেছিল ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মসজিদ প্রাঙ্গণসহ আশপাশ। এমনকি রাস্তায়ও নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।
জাতীয় মসজিদে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বেলা ১১টা থেকে মুসল্লিরা বায়তুল মোকাররমে আসা শুরু করেন। দুপুর ১২টার আগেই পূর্ণ হয়ে যায় মসজিদের ভেতরের মূল অংশ। আজানের পর আস্তে আস্তে মসজিদের ওপর-নিচ ভরে যায়।
নামাজের আগে মসজিদের পাশের খোলা জায়গাও মুসল্লিতে ভরে যায়। নামাজের সময় মার্কেটের ভেতরে কাতার করে নামাজ আদায় করেন অনেকে।
উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে শিশু-কিশোর থেকে প্রায় সব বয়সের মুসল্লিরা পবিত্র জুমা আদায়ে উপস্থিত হন জাতীয় মসজিদে।
রহমত, বরকত এবং মাগফেরাতের মাস রমজান দেখতে দেখতে শেষের পথে। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মহান আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের উদ্দেশ্যে শেষ জুমার দিনে মসজিদে আগেভাগেই উপস্থিত হন।
মুসল্লিদের মধ্যে এয়াকুব আলী নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘রমজান মাস মুসলমানদের জন্য ইবাদতের মাস, প্রশিক্ষণের মাস। এই মাসে আমরা আগামী ১১ মাসের জন্য শিক্ষা গ্রহণ করি। শুক্রবার যাদের সমর্থন নেই তাদের জন্য হজের দিনের মতো, রমজানের প্রতিটি শুক্রবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেষ দিনটি এজন্যই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা আগামী রমজান পর্যন্ত বেঁচে থাকব তার তো কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই এই দিনটিকে আমরা মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে দোয়া করার জন্য একত্রিত হয়েছি।’
ইফতেখার আহমেদ নামের আরেক মুসল্লি বলেন, ‘জুমাতুল বিদা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় রহমত, বরকত এবং মাগফেরাতের মাস শেষ হতে চলছে। পবিত্র মাহে রমজান মাসের শেষ শুক্রবার আমরা আল্লাহর দরবারে হাজির হয়ে নিজেদের সকল গুনাহ মাফের জন্যে দোয়া করি।’
অন্যান্য শুক্রবারের মতো আজও জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মহান আল্লাহর কাছে আখিরাতে মুক্তির পাশাপাশি দেশ ও মুসলিম জাতির শান্তি কামনা করা হয়। আল আকসা মসজিদ এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন বন্ধ এবং ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা চেয়ে দোয়া করা হয়।