ডিএসইয়ে ৭৭ শতাংশ কোম্পানির দরপতন
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ)। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দরপতন হয়েছে। লেনদেন পরিমাণ কমেছে। এদিন ৭০০ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন।, কমেছে বাজারে মূলধন পরিমাণও। সূচক পতনের একই চিত্র ছিল অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। কমেছে লেনদেনসহ পুঁজিবাজারে মূলধন পরিমাণ। ৭২ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়েছে।
স্টক এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইট অনুসন্ধানে দেখা যায়, ডিএসইতে লেনদেন শুরুতেই সূচক উত্থান হয়। লেনদেন শুরুর প্রথম ১০ মিনিটে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স উত্থান হয় ৯ পয়েন্ট। সেই সময় ডিএসইএক্স সূচক অবস্থান করেছিল ছয় হাজার ১৭৫ পয়েন্টে। পরে সূচক কমা মুখিতে অবস্থান করে। লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স পতন ৫৩ পয়েন্ট। লেনদেন সাতশ কোটি টাকার ছাড়িয়েছে। তিনশ কোম্পানির দরপতন হয়। অপরদিক সিএসইতে লেনদেন শুরুতে প্রধান সূচক উত্থান হয়। শুরু কিছুক্ষণ পর সেই সূচক পতনে অবস্থান করে। লেনদেন শেষে প্রধান সূচক সিএএসপিআই পতন তিন পয়েন্ট। লেনদেন ছাড়িয়েছে ১১ কোটি টাকা। ১৭০টি বা ৭২ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়।
স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয় ৭০৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবস বুধবার লেনদেন ৭৩০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এদিন পুঁজিবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৪৮ হাজার ৮২৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবস বুধবার বাজার মূলধন ছিল সাত লাখ ৫২ হাজার ১৭৬ কোটি পাঁচ লাখ টাকার শেয়ার। বৃহস্পতিবার সূচক ডিএসইএক্স ৫৩ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১১২ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক সাত দশমিক ১২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৩৫ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে। এ ছাড়া ডিএস৩০ সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৯৪ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে। ডিএসইতে এদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ৪৬টির ও কমেছে ৩০৪টির। শেয়ারদর পরিবর্তন হয়নি ৪৬টির।
আজ লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ফু-ওয়াং সিরামিকের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪০ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেন শীর্ষ উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে সেন্ট্রাল ফার্মার ২৮ কোটি আট লাখ টাকা, ইন্ট্রাকোর ১৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, মুন্নু ফেব্রিকসের ১৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা, গোল্ডেন সনের ১৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা, ফরচুন সুজের ১৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, আফতাব অটোর ১৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা, বেস্ট হোল্ডিংসের ১৫ কোটি ২১ লাখ টাকা, বিট্রিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ১৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং বিডি থাইয়ের ১৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
অপরদিকে, সিএসইতে বৃহস্পতিবার ১১ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। আগের কর্মদিবস বুধবার লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার। এদিন বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৪২ হাজার ৮৪০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস বুধবার বাজার মূলধন ছিল সাত লাখ ৪৪ হাজার ১৭৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সিএসই প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৯৪ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৫০ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে। এ ছাড়া সিএসই৫০ সূচক তিন দশমিক ২৮ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৯০ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৫৩ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমেছে। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৩৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৪৪টির এবং কমেছে ১৭০টির। শেয়ার দর পরিবর্তন হয়নি ২২টির।
আজ লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ইস্টার্ন ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির দুই কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেন শীর্ষ উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ৭১ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং সিরামিকের ৪৩ লাখ টাকা, এ্যাপোলো ইস্পাতের ৪৪ লাখ টাকা, বেস্ট হোল্ডিংসের ৪২ লাখ টাকা, এনআরবি ব্যাংকের ৩৯ লাখ টাকা, সিকদার ইন্স্যুরেন্সের ৩৫ লাখ টাকা, গোল্ডেন সনের ৩৩ লাখ টাকা, সেন্ট্রাল ফার্মার ৩২ লাখ টাকা এবং মুন্নু ফেব্রিকসের ২৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।