নিরাপত্তার শীর্ষে ব্যাংক খাত, ঝুঁকিতে সিরামিক
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/05/04/dse.jpg)
বিদায়ী সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতি) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। ডিএসইতে খাতভিত্তিক হিসেবে বিনিয়োগে বেশি নিরাপদ অবস্থানে আছে ব্যাংক খাত। অপরদিকে বিনিয়োগ ঝুঁকিতে আছে সিরামিক খাত। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইর পর্যালোচনায় দেখা যায়, গেল সপ্তাহের শেষে (বৃহস্পতিবার) ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করেছে ১০ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) অবস্থান ছিল ১০ দশমিক ৩১ পয়েন্টে। যা বিগত সময়গুলোর তুলনায় কম। আবার ডিএসইতে খাতভিত্তিক হিসেবে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বেশি নিরাপদ অবস্থানে আছে ব্যাংক খাত। খাতটিতে গত বৃহস্পতিবার পিই রেশিও অবস্থান করে ছয় দশমিক ৫২ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে পিই রেশিও অবস্থান ছিল ছয় দশমিক শূন্য দুই পয়েন্টে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও বাড়লেও খাতটিতে বিনিয়োগে সবচেয়ে বেশি নিরাপদে আছে। অপরদিক বিনিয়োগ ঝুঁকিতে থাকা সিরামিক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করে ৮৫ দশমিক শূন্য তিন পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) অবস্থান ছিল ৩৩ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ৫১ দশমিক ৫০ পয়েন্ট। পিই রেশিও বেড়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ঝুঁকির শীর্ষ অবস্থানে আছে খাতটি।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোনো কোম্পানির পিই রেশিও ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসাবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। সে হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। এসব বিবেচনায় গত বৃহস্পতিবারের ডিএসইয়ের পিই রেশিও হিসাবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে। তেমনি খাতভিত্তিক বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে একই অবস্থা রয়েছে।
বর্তমানে খাতভিত্তিক হিসাবে ব্যাংকের পর বিনিয়োগ নিরাপদ জায়গায় আছে টেলিযোগাযোগ খাত। খাতটির পিই রেশিও সাত দশমিক ৮৯ পয়েন্টে। পরে অবস্থানে রয়েছে সিমেন্ট খাত। খাতটির পিই রেশিও ১০ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের পিই রেশিও ১২ দশমিক শূন্য আট পয়েন্টে।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে নন ব্যাংকিং আর্থিক খাতে ১৩ দশমিক ১১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ১৩ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১৪ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে, বিমা খাতে ১৫ দশমিক শূন্য তিন পয়েন্টে, বস্ত্র খাতে ১৫ দশমিক ১৭ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১৭ দশমিক শূন্য পাঁচ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৮ দশমিক শুন্য আট পয়েন্ট, আইটি খাতে ২২ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২২ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২৬ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে, পাট খাতে ৩০ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ৩১ দশমিক শূন্য দুই পয়েন্টে এবং বিবিধ খাতে ৩২ দশমিক ৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।