উত্থানের শীর্ষে লোকসানি ঢাকা ডাইং
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লোকসানে থাকা দি ঢাকা ডাইং এন্ড ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের (ঢাকা ডাইং) গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৩০ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার গেইনারের শীর্ষে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ১১ টাকা ১০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল আট টাকা ৫০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে দুই টাকা ৬০ পয়সা বা ৩০ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৩৫ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে (জানুয়ারি-মার্চ) শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল পাঁচ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস বা তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৯৭ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-মার্চ) শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) ছিল এক পয়সা। আলোচিত তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে এক টাকা এক পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল এক টাকা ৩৫ পয়সা। গত ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা ১২ পয়সা।
লোকসানে পড়ায় গত ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে আর্থিক প্রতিবেদন (জুলাই-জুন) যাচাই বাছাই করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দিতে পারেনি। আলোচিত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল ৫৮ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ১৪ পয়সা পয়সা। আলোচিত সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল এক টাকা ৬৯ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল এক টাকা ৯৩ পয়সা। গত ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা আট পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য ছিল ৩৪ টাকা ৬৪ পয়সা।
২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ঢাকা ডাইং। ‘জেড’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৮৭ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা আট কোটি ৭১ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫৩টি। রিজার্ভে রয়েছে ২০৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৩০ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ১৭ দশমিক ৭১ শতাংশ, বিদেশি দশমিক ২০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৫১ দশমিক ৯৯ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।
গেল সপ্তাহে দর বাড়ার তালিকায় অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্রামীনএস দুইয়ের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ৩০ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ইসলামিক ফাইন্যান্সের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ২৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, জেনারেশন নেক্সটের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ২৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, একমি পেস্টিসাইডসের (‘বি’ ক্যাটাগরি) ২৯ দশমিক ২২ শতাংশ, মুন্নু সিরামিকের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ২৯ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ, অলিম্পিকের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ২৯ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ২৯ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, এসিআইয়ের (‘এ’ ক্যাটাগরি) ২৯ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ এবং একমি ল্যাবের ২৯ দশমিক শূন্য দুই শতাংশের দর উত্থান হয়।