পুঁজিবাজারের তদন্ত চেয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে চিঠি
পুঁজিবাজারের কার্যক্রমের তদন্ত চেয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে চিঠি দিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। একই সঙ্গে ডিএসইকে আরও শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে অর্থ উপদেষ্টার কাছে বেশকিছু সুপারিশও করেছে। আজ রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিটি অর্থ উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হয়। ওই চিঠির অনুলিপি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয়।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ ও ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিমের অধীনে ডিএসই পর্ষদে সাতজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের বিধান রয়েছে। ওই ৭ জন স্বতন্ত্র পরিচালকের মধ্য থেকে পর্ষদ চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। অপরদিক ডিএসইর ২৫০ জন শেয়ারহোল্ডারদের প্রত্যক্ষ ভোটে চারজন শেয়ারহোল্ডার নির্বাচিত হয়ে পরিচালক হিসেবে পর্ষদে আসে। চেয়ারম্যানসহ ৭ জন স্বতন্ত্র পরিচালকের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে ডিএসইসহ পুঁজিবাজারের যেকোন সিদ্ধান্তে তাদের একক আধিপত্য ও প্রভাব থাকে। স্বতন্ত্র পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের মধ্যে এহেন সংখ্যাগত বৈষম্যের ফলে ডিএসইর কর্মকাণ্ড ও সিদ্ধান্তে ভিন্নতা ও বৈষম্য তৈরী হয়ে ২০১৩ সাল থেকে আজ ডিএসই একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
ডিএসইকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ডিএসইর ভূমিকা জোরদার করতে অর্থ উপদেষ্টার নিকট নিম্নোক্ত সুপারিশ তুলে ধরে ডিবিএ। এগুরো হলো- বিদ্যমান ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ ও ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন স্কিমের পুনঃমূল্যায়ন করা; ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সদস্যদের মধ্যে সমতা তৈরি করে সেক্ষেত্রে ছয় জন স্বতন্ত্র পরিচালক ও ছয় জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক নিয়োগের বিধান রাখা এবং শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান নিয়োগ করা; বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীর আস্থা ফিরিয়ে আনতে গত ১৫ বছর (২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত) পুঁজিবাজারের সামগ্রিক কার্যক্রমের উপর তদন্ত কমিটি গঠন করা।