১৮ শতাংশ বেড়ে সী পার্ল গেইনারের শীর্ষে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভ্রমন ও আবাসন খাতের সী পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পার গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ১৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার গেইনারের শীর্ষে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ৫৫ টাকা ১০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৪৬ টাকা ৪০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে আট টাকা ৪০ পয়সা বা ১৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা দুই পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে (জানুয়ারি-মার্চ) শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) ছিল তিন টাকা ১৩ পয়সা। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস বা তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে তিন টাকা ৮২ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-মার্চ) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ছয় টাকা ৬৩ পয়সা। আলোচিত তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে আট টাকা ৩৫ পয়সা। আগের অর্থবছরে একই সময়ে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল ১০ টাকা ২২ পয়সা। গত ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৪০ পয়সা।
গত ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে আর্থিক প্রতিবেদন (জুলাই-জুন) যাচাই বাছাই করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছিল পাঁচ টাকা ৮১ পয়সা। আলোচিত সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল আট টাকা ২৭ পয়সা। আর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ১৬ টাকা ৮২ পয়সা।
২০১৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় সী পার্ল বিচ। ‘এ’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১২ কোটি সাত লাখ ৫০ হাজার। রিজার্ভে রয়েছে ৮২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৪৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ১৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগ দুই দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৩৪ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।