মেট্রো স্পিনিংয়ের উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি মেট্রো স্পিনিংয়ের কারখানার উৎপাদন আগামী ১ বছরের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসই এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মেট্রো স্পিনিংয়ের ভবন সংস্কার ও মেশিনারিজ পরিবর্তন করা হবে। যার কারণে আগামী এক বছর কোম্পানিটির উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া কোম্পানিটির জন্য নতুন মেশিনারিজ কেনা হচ্ছে। যা পুরাতন মেশিনের জায়গায় স্থলাভিষিক্ত করা হবে। পরে পরীক্ষামূলক কোম্পানিটির কারখানার উৎপাদন শুরু হবে।
মেট্রো স্পিনিংয়ের সচিব মোহাম্মদ জুয়েল রানা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমাদের কোম্পানির ভবন সংস্কার কাজ হাত নিয়েছি। এছাড়া কোম্পানিটির কারখানার উৎপাদন বাড়ানোর স্বার্থে নতুন মেশিনারিজ কেনা হচ্ছে। ভবন সংস্কার ও মেশিনারিজ পরিবর্তনের কারণে আমাদের কারখানায় উৎপাদন আপাতত বন্ধ থাকবে। সবমিলিয়ে কাজ শেষ করে আমাদের কারখানার উৎপাদনে যেতে আগামী এক বছরের মতো লাগতে পারে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মেট্রো স্পিনিং কোম্পানিটি লোকসানে পড়ায় ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) জন্য বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দিতে পারেনি। ওই অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিল তিন টাকা ১২ পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল এক টাকা ৮৬ পয়সা। আর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ১৬ টাকা ৮৭ পয়সা।
গত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদনে মেট্রো স্পিনিংয়ের শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে এক টাকা ৯১ পয়সা। আলোচিত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস বা তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে দুই টাকা ২৮ পয়সা। তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছে এক টাকা ৯৪ পয়সা। গত ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৫১ পয়সা। আজ বুধবারে (২৫ সেপ্টেম্বর) দিনশেষে শেয়ারটির দর দাঁড়ায় ১৩ টাকা ৯০ পয়সা।
২০০২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় মেট্রো স্পিনিং। ‘বি’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৬১ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ছয় কোটি ১৬ লাখ ৯৮ হাজার ২৭৫টি। রিজার্ভে রয়েছে ৩৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৩০ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৫৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।