মূলধন ৩৬ কোটি টাকা কমলেও লেনদেনে সেরা অগ্নি সিস্টেমস
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইটি খাতের কোম্পানি অগ্নি সিস্টেমসের ৯২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে গত সপ্তাহে (সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার)। যা মোট লেনদেনের সাত দশমিক ২৫ শতাংশ একাই করেছে কোম্পানিটি। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে। অপরদিক লেনদেনে শীর্ষে থাকলেও শেয়ার প্রতি দর কমেছে পাঁচ টাকা। যা কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন কমেছে ৩৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) অগ্নি সিস্টেমসের শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ৩৬ টাকা ২০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহের ৯ অক্টোবর কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৪১ টাকা ২০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে পাঁচ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোট শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন কমেছে ৩৬ কোটি ২৭ লাখ ৮০ হাজার ৯৬০ টাকা। মূলধন কমলেও গেল সপ্তাহে শেয়ারটি লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে। সপ্তাহটিতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির এক হাজার ২৭২ কোটি দুই লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সেখানে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির চার কর্মদিবসে মোট ৯২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। যা মোট লেনদেনের সাত দশমিক ২৫ শতাংশ।
কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, অগ্নি সিস্টেমসের গত অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) তৃতীয় প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৩২ পয়সা। গত তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে ৯০ পয়সা। আলোচিত তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছে এক টাকা ১৫ পয়সা। গত ৩১ মার্চ কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৩৭ পয়সা। ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে (জুলাই-মার্চ) জন্য বিনিয়োগকারীদের জন্য চার দশমিক ৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। ওই অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছিল এক টাকা ১৩ পয়সা। সমাপ্ত বছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল এক টাকা ৩৮ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ১৫ টাকা ৯৫ পয়সা।
২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় অগ্নি সিস্টেমস। ‘বি’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৭২ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা সাত কোটি ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ১৯২টি। রিজার্ভে রয়েছে ১৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৩২ দশমিক ৩৪ শতাংশ, প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের হিসেবে কোম্পানিটির দীর্ঘমেয়াদি ঋণ রয়েছে এক কোটি ৬৮ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং স্বল্পমেয়াদি ঋণ ৭২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। গত বৃহস্পতিবার আন-অডিটেড সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ১৭ পয়েন্ট।