ডিএসইর ৭৫ শতাংশ কোম্পানির দরপতন
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব ধরনের সূচক পতনে পার করল গত সপ্তাহ (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার)। সপ্তাহটিতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এক সপ্তাহের ব্যবধান বাজারে মূলধন কমেছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা। দরপতন হয়েছে ৭৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, আগের সপ্তাহ থেকে বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ১৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে মূলধনের পরিমাণ কমেছে ১১ হাজার ৯৫৯ কোটি ২০ লাখ টাকা বা এক দশমিক ৭৭ শতাংশ।
এদিকে ২০২২ সালে ১০ অক্টোবর ডিএসইতে ২৫০ সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এতে ডিএসইর পুঁজিবাজার মূলধন দুই লাখ ৫০ হাজার ৮৩৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা থেকে বেড়ে সাত লাখ ৭২ হাজার ৫১৪ কোটি ৪১ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) পুঁজিবাজারে মূলধন দাঁড়ায় ছয় লাখ ৬২ হাজার ৭১৯ কোটি ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। যা আগের সপ্তাহের ১৪ নভেম্বর এই মূলধন ছিল ছয় লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯০ হাজার টাকায।
গেল সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৩২৯ কোটি দুই লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৭৭০ কোটি ১০ লাখ টাকা। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৫৫৪ কোটি দুই লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৮২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭২টির, দর কমেছে ২৮৭টির বা ৭৫ দশমিক ১৩ শতাংশ ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির।
সপ্তাহটিতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইএক্স ১৫৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় পাঁচ হাজার ১৯৭ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে। ডিএসই৩০ সূচক ৬৭ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় এক হাজার ৯১৯ দশমিক শূন্য পাঁচ পয়েন্টে। ডিএসএমইএক্স সূচক ৪৪ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় এক হাজার পাঁচ দশমিক ১৬ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩১ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় এক হাজার ১৫১ দশমিক ৫৬ পয়েন্টে।