অনিরাপদ তবুও গেইনারে সেরায় ওয়েস্টার্ন মেরিন
গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার গেইনারের শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত এই সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন বেড়েছে ৬৫ কোটি ৮৫ টাকা। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দাঁড়িয়েছে ২৩০ পয়েন্টে। এই পিই রেশিও হিসেবে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগ অনিরাপদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ৯ টাকা ২০ পয়সা। যা আগের সপ্তাহে ২৬ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ছয় টাকা ৪০ পয়সা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে দুই টাকা ৮০ পয়সা বা ৪৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সপ্তাহটিতে মোট শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন বেড়েছে ৬৫ কোটি ৮৫ লাখ ৭০ হাজার ৫৫৩ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৫২ লাখ তিন হাজার ৭৬৯টি।
পুঁজিবাজারের কোনো কোম্পানির পিই রেশিও যদি সিঙ্গেল ডিজিটে থাকে, তাহলে সেখানে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ ধরে নেওয়া হয়। এ ছাড়া পিই রেশিও ডিজিট যদি ১৫ পয়েন্ট পর্যন্ত অবস্থান করে, তবে সেখানেও বিনিয়োগ নিরাপদ বলে ধরা হয়ে থাকে। তবে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসাবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। সেই হিসাবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। মানে পিই রেশিও ৪০ এর ওপরে গেলে বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। পিই রেশিও যত বাড়বে ঝুঁকির মাত্রা তত বাড়তে থাকবে।
কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী ২০২৩-২৪ সমাপ্ত অর্থবছরে (জুলাই-জুন) কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল চার পয়সা। সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল এক টাকা ৩৮ পয়সা। গত ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ১৬ টাকা ৪৯ পয়সা।
২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড। ‘জেড’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৬০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৩৫ কোটি ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভ রয়েছে ১৫৯ কোটি সাত লাখ টাকা। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৩০ দশমিক এক শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৫৪ দশমিক ৩১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।