অধিকাংশ কোম্পানির দরপতনেও বেড়েছে মূলধন
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে আজ রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি)। এক কর্মদিবসের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৩ পয়েন্ট। লেনদেন কমে আজ ৩৭৪ কোটি টাকার ঘরে চলে এসেছে। এদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া ৬০ দশমিক ৭৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়েছে। তবে আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবারে বাজার তুলনায় এদিন পুঁজিবাজারে মূলধনের পরিমাণ বেড়েছে দুই হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৪২৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার। আজ বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছে ৩৭৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। এদিন ডিএসইতে মূলধন দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৭৬ হাজার ৬৯৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবার মূলধন ছিল ছয় লাখ ৭৩ হাজার ৯৩০ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার। আজ লেনদেন হওয়া ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ৯২টির ও কমেছে ২৪০টির। শেয়ার দর পরিবর্তন হয়নি ৬৩টির।
এদিন ডিএসইএক্স ১৩ দশমিক ২৯ পয়েন্ট কমে হয়েছে পাঁচ হাজার ১৬৫ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে। আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স দাঁড়িয়েছিল পাঁচ হাজার ১৭৯ দশমিক ১৭ পয়েন্টে। আজ ডিএসইএস সূচক চার দশমিক ২৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৪৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএস৩০ সূচক এক দশমিক শূন্য ছয় পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯১১ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে।
এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে খান ব্রাদার্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ১২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে নিউ লাইন ক্লোথিংসের ৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা, বিচ হ্যাচারির ৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা, রবি আজিয়াটার ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, খুলনা প্রিন্টিংয়ের ৯ কোটি এক লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের সাত কোটি ৩১ লাখ টাকা, এনার্জিপ্যাক পাওয়ারের ছয় কোটি ৭৮ লাখ টাকা, নাভানা ফার্মার ছয় কোটি ৪৬ লাখ টাকা, সিটি ব্যাংকের ছয় কোটি ৪৩ লাক টাকা এবং সেন্ট্রাল ফার্মার পাঁচ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন দর কমার শীর্ষে উঠে এসেছে খুলনা প্রিন্টিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির দর কমেছে সাত দশমিক ৪৩ শতাংশ। দর বাড়ার শীর্ষে উঠে এসেছে পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ।