শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণার নীতিমালা বাতিল দাবি

পুঁজিবাজারে অনিয়ম বন্ধে ইস্যুয়ার কোম্পানি, ইস্যু ম্যানেজার ও অডিটফার্মগুলোকে দ্রুত আইনের অধীনে আনার দাবি করেছেন বিনিয়োগকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। একইসঙ্গে শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণার নীতিমালা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বাতিল দাবি জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে ডিএসইর ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ঐক্য পরিষদের নেতারা এসব দাবি তুলে ধরেন। এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত বিনিয়োগকারীরা স্লোগানে দিতে থাকেন- দফা এক, দাবি এক, রাশেদ মাকসুদ ও আবু আহম্মেদের পদত্যাগ। পুঁজিবাজার ঠিক কর-নইলে বুকে গুলি কর। আমার টাকা, আমার টাকা-ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও। স্বৈরাচারের আস্তানা-বিএসইসিতে হবে না। স্বৈরাচারের এজেন্ডা-বাস্তবায়ন হবে না। গত ১৫ বছরের বিতর্কিত আইপিও ইস্যুকারীদের আইনে আওতায় আনতে হবে। খায়রুল হক, শিবলি রুবায়েত, সাইদুর রহমান গংদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক।
বর্তমান বিএসইসির কমিশনের আমলে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে প্রায় এক হাজার পয়েন্ট জানিয়ে মানববন্ধনে বিনিয়োগকারীরা বলেন, এ সময় লেনদেন চলে এসেছে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে। বাজার মূলধন কমেছে ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি। ইতোমধ্যে পুঁজিবাজারে পুঁজি হারিয়ে অনেকেই রাস্তায় বসে পড়েছে। অপরদিক তাদের বাঁচাতে এবং পুঁজিবাজারের ধারাবাহিক পতন ঠেকাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেই কার্যকর পদক্ষেপ। তাই দ্রুত বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদের পদত্যাগ দাবি করেন। একইসঙ্গে শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ ঘোষণার নীতিমালা বাতিল দাবি করেন।
নীতিমালা বাতিল ব্যাখায় তারা বলেন, নীতিমালা ফলে যেসব ব্যাংক ডিবিডেন্ট দিতে পারবে না ওইসব ব্যাংকের শেয়ারের দর অবমূল্যায়িত হবে। এতে সবধরনের বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নীতিমালার কারণে এই ব্যাংকগুলো আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। এলসি খুলতে পারবে না। এতে বিদেশি ব্যাংকগুলো ওইসব ব্যাংকের সাথে ব্যবসা বন্ধ করে দিবে। ফলে পুঁজিবাজারে এর প্রভাব পড়বে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক ডিপার্টমেন্টে অব সাইট সুপারভিশন ডিওএস সার্কুলার নং-০১ বাতিল করার দাবি তাদের।