ডিএসই : তিন খাতে লেনদেন ৪১ শতাংশ, শীর্ষে বস্ত্র

সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে (২৮ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার। এতে খাতটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে। পরের অবস্থানে ব্যাংক ও ওষুধ খাতের প্রতিষ্ঠান। এই তিন খাতে লেনদেন হয়েছে ৪০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মাত্র তিন কর্মদিবস লেনদেন হয়।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৮৬০ কোটি ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৬২০ কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার টাকা। পুঁজিবাজারে ২১টি খাতে রয়েছে ৪১৩টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে বস্ত্র, ব্যাংক ও ওষুধ রসায়ন—এই তিন খাতের ১২৮টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ৭৬২ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার। বাকি ১৮ খাতের ২৮৫টি প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ৯৭ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
শীর্ষে অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাতের ৫৮টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২৫৭ কোটি ৭৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৮৫ কোটি ৯২ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদনের ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। লেনদেনে খাতটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। এই খাতের ৩৬টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২৫৩ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। লেনদেনে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। এই খাতের ৩৪টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২৫২ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
এ ছাড়া মোট লেনদেনের আট দশমিক ২৮ শতাংশ হয়েছে জীবন বিমা খাতে, প্রকৌশল খাতে আট দশমিক ২৬ শতাংশ, বিবিধ খাতে ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ, আইটি খাতে পাঁচ দশমিক ১৯ শতাংশ, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে চার দশমিক ৭৮ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে চার দশমিক ৭৭ শতাংশ, জ্বালানি ও শক্তি খাতে চার দশমিক ৭০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে চার দশমিক ৪৫ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাতে দুই দশমিক ৫৫ শতাংশ, নন ব্যাংক আর্থিক খাতে এক দশমিক ৮৩ শতাংশ, চামড়া খাতে এক দশমিক ৬৭ শতাংশ, টেলিকম খাতে এক দশমিক ৪৮ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ডের খাতে এক দশমিক ২৯ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ, পাট খাতে শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ, সিরামিক খাতে শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং করপোরেট বন্ড খাতে শূন্য দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ লেনদেন হয়েছে।