অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে অজ্ঞান অবস্থায় তিন রাত লঞ্চে প্রকৌশলী

Looks like you've blocked notifications!
অচেতন অবস্থায় শনিবার ভোরে প্রকৌশলী মো. আল আমিনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ছবি : এনটিভি

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পরে এক প্রকৌশলী তিন রাত ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের মানামী লঞ্চে অচেতন অবস্থায় থাকার খবর পাওয়া গেছে। শনিবার ভোর রাতে অচেতন অবস্থায় মো. আল আমিন নামে ওই প্রকৌশলীকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

আল আমিন পটুয়াখালীর গলাচিপার ডাকুয়া এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে। সে ময়মনসিংহ এলাকার আরিফ কোম্পানিতে প্রকৌশলী পদে কর্মরত।

আল আমিনের স্ত্রী কামরুন্নাহার বলেন, বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা এসে বরিশালের লঞ্চে ওঠে আল আমিন। সর্বশেষ ওইদিন রাত ১০টায় লঞ্চ থেকেই কথা হয় তাঁর সাথে। এরপর থেকেই যোগাযোগ ছিল না। শনিবার আমি থানায় জিডি করার প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। এরপর এক যাত্রী আমাকে ফোন করে আল আমিনের কথা জানালে, আমি আমার ভাইদের লঞ্চঘাট যেতে বলি। রাত ১২টার দিকে মানামী লঞ্চ বরিশাল লঞ্চঘাট এলে মেয়রের লোকজন আল আমিনকে অচেতন অবস্থায় লঞ্চ থেকে নামিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। তার সাথে থাকা ৫৫ হাজার টাকা, নতুন জামাকাপড় ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। একটা লঞ্চের ডেকে একজন যাত্রী তিন রাত ছিল, আর সেটা লঞ্চের কেউ খেয়াল করলো না, এটা হতে পারে না। লঞ্চের লোকজনও জড়িত অজ্ঞানপার্টির সাথে।

বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের সহকারি রেজিস্ট্রার শামসুদ্দোহা তৌহিদ বলেন, অচেতন অবস্থায় ওই রোগী ভর্তি হয়েছে। তার জ্ঞান ফেরেনি এখনও। চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসায় দেরি হলে তার অনেক বড় সমস্যাও হতে পারতো।

মানামী লঞ্চের বরিশাল অফিস ম্যানেজার রেজোয়ান হোসেন লিপন বলেন, আমরা এ ধরনের কোনো বিষয় জানি না।

বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক ও বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শনিবার রাতে এক যাত্রীকে অচেতন অবস্থায় মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর লোকজন মানামী লঞ্চ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। একটা লঞ্চে একজন যাত্রী তিন রাত দুইদিন ছিল, আর সেটা লঞ্চের স্টাফরা খেয়াল করেনি, এটা হতে পারে না। লঞ্চ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।