অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ঠেকাতে মাঠে নেমেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত

Looks like you've blocked notifications!
অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ঠেকাতে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি : সংগৃহীত

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর নতুন করে আবারও নির্ধারণ করা হয়েছে গণপরিবহনের ভাড়া। তবে, নির্ধারিত ভাড়ার বেশি নিলে ব্যবস্থা নেবে সড়ক পরিবহণ সংস্থা (বিআরটিএ)। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ঠেকানো এবং নতুন ভাড়া যথাযথভাবে কার্যকর করতে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন সংস্থাটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।

আজ রোববার সকাল থেকে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন তাঁরা।

গতকাল শনিবার রাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (বিআরটিএ) ভবনে সংবাদ সম্মেলনে সড়ক সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নুরী ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তিনি সে সময় সাতটি টিম কাজ করবে বলে তথ্য দিয়েছিলেন।

বিমানবন্দর এলাকায় দায়িত্ব পালন করা বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজিদ আনোয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের ১০টি টিম কাজ করছি। কোনোভাবে কিলোমিটার প্রতি আড়াই টাকার বেশি ভাড়া নেওয়া যাবে না। যারা নেবে তাঁদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কোন কোন বিষয়গুলো দেখা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে সাজিদ আনোয়ার বলেন, ‘বেশি ভাড়া নেওয়া, ওয়েবিলের নাম করে বাড়তি ভাড়া নেওয়া, গাড়ির রুট পারমিট, কাগজপত্র ঠিক আছে কি-না এসব বিষয় দেখা হবে।’

এর আগে শনিবার রাতে বৈঠক শেষে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মাদ মজুমদার দাবি করেন, অতিরিক্ত ভাড়া রোধে তাদের সাত জন ম্যাজিস্ট্রেট সব সময় রাস্তায় থাকেন। তাঁরা সপ্তাহের ছয় দিন সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কাজ করছেন।’

ওয়েবিলকে অবৈধ জিনিস আখ্যা দিয়ে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, ‘ম্যাজিস্ট্রেটরা এ ধরনের অনিয়ম দেখতে পেলে তাদের আইনের আওতায় আনেন। জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করবে, তাঁদের যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আছেন, তাঁরা যেন ভাড়া মনিটর করেন। যাতে কেউ বাড়তি ভাড়া আদায় করতে না পারেন।’

এদিকে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ বিআরটিএর সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেছেন, ‘কেউ যদি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবস্থা নেবে। মালিক সমিতিও কঠোর আছে এ বিষয়ে।’