অভিযোগের প্রতিবাদে নড়াইল জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন

Looks like you've blocked notifications!
নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন। ছবি : এনটিভি

নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শাহাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন পান্না, মহব্বত খান, সাধন বিশ্বাস, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধনসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ খান মাহমুদ বলেন, আমি এই ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান এবং শাহাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৌকা প্রতীকে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। আপনার সবাই জানেন, শাহাবাদ ইউনিয়ন জামায়াত-বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় রাজাকারপুত্র জিয়াউর রহমান জিয়ার কাছে আমি পরাজিত হই। সেই থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন প্রকার হয়রানি। এরই ধারাবাহিকতায় আমার জমি ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত প্রয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবার ওয়ারিশ কায়েম সনদের জন্য আবেদন করি। নিয়মানুযায়ী সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. ইমরান হোসেন তদন্ত করে ওয়ারিশ কায়েম সনদের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করেন চেয়ারম্যান বরাবর।

আশরাফ খান মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, কিন্তু চেয়ারম্যান এরপর থেকে ওয়ারিশ কায়েম সনদ নিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। একপর্যায়ে জিয়া চেয়ারম্যান সনদ বাবদ আমার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন। তখন আমি নিরুপায় হয়ে আমার বন্ধু সরদার আলমগীর হোসেন আলম, সে আমার বিগত নির্বাচনে নৌকাকে জেতানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। তাই আমি আমার বন্ধু জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে অবহিত করে সহযোগিতা চাই। এ কারণে গত ১০ মার্চ সকালে আলম জিয়াকে ফোন করলে জিয়া আলমকে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে বলেন। আলম আমাকে ফোন দিয়ে তখন জানায় আমি শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে আসতেছি। তুমিও পরিষদে আসো। আমি পরিষদে উপস্থিত হওয়ার আনুমানিক ১০-১২ মিনিট পর আলম ইউনিয়ন পরিষদে আসে। তখন আনুমানিক সময় দুপুর সাড়ে ১২টা। সে সময় ইউনিয়ন পরিষদের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত বিট পুলিশ অফিসাররাসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিল। সরদার আলমগীর হোসেন আলমের অনুরোধক্রমে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ইমরান হোসেনের সুপারিশকৃত ওয়ারিশ কায়েম সনদে চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া স্বাক্ষর করে দেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।

উল্লেখ্য, নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলমগীর হোসেন আলম ওরফে কাহার আলমের বিরুদ্ধে বিধবার বাড়ি দখলের অভিযোগে গত শনিবার শাহাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নাগরিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে তোলা হয় সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগও।