অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য শক্তিশালী কৃষি অপরিহার্য : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রূপান্তর ও গ্রামীণ উন্নয়ন: প্রাক বাজেট বিশ্লেষণ ২০২৩-২৪’ শীর্ষক সেমিনারে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ছবি : এলজিআরডি মন্ত্রণালয়

দেশের ৭৫ শতাংশ মানুষ কৃষিনির্ভর জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নতি ও অগ্রসরতার জন্য আমাদের শক্তিশালী কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ করা জরুরি। কারণ, কৃষির উন্নতি হলে তা শহর ও গ্রামীণ জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। শক্তিশালী কৃষি অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য।’

আজ শুক্রবার (৫ মে) বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রূপান্তর ও গ্রামীণ উন্নয়ন : প্রাক বাজেট বিশ্লেষণ ২০২৩-২৪’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তাজুল ইসলাম।

মন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিতে সরকারের বিভিন্ন সহায়তা ও সুফলকে কাজে লাগিয়ে দেশের অনেক শিক্ষিত বেকার আজ স্বাবলম্বী, প্রতিষ্ঠিত ও সফল। বেকারত্ব দূর করতে চাকরির পিছনে না ছুটে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদনে তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত হতে হবে।’

কৃষিতে ভর্তুকির বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষিতে ভর্তুকি বিনিয়োগও বটে। তবে, রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে আহরিত টাকাই ভর্তুকি দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে প্রকৃত কৃষকই যেন ভুর্তকির সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।’

এ সময় মন্ত্রী কৃষি বাণিজ্যিকীকরণ ও কৃষি পণ্য বহুমুখীকরণে গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘কৃষি শুধু আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সাহায্য করছে তাই নয়, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় আমাদের অপেক্ষাকৃত ক্ষতি কম হয়েছে।’

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘ কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরন বিশেষভাবে প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের আধুনিক ও লাগসই কৃষি ব্যবস্থা গ্রহণের কারণে কৃষির উৎপাদনশীলতা ও শস্য নিবিড়তা বাড়ছে।’