নিরাপদ সড়ক, বাসে অর্ধেক ভাড়া (হাফ পাস) এবং নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের মৃত্যুর ঘটনার বিচারের দাবিতে এবার আন্দোলনে নেমেছেন রামপুরা ইমপেরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রামপুরা ব্রিজের ওপর অবস্থান নিয়ে দুপুর ২টার দিকে সড়ক ছাড়েন শিক্ষার্থীরা। এ তথ্য এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।

ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা দুপুর ২টার দিকে সড়ক ছাড়েন। তবে, শিক্ষার্থীদের দাবি পুরণ না হলে তাঁরা পুনরায় অন্দোলনে নামবেন বলে তাঁদের দাবি।’

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে নয় দফা দাবির বাস্তবায়ন চেয়ে অবস্থান নিয়েছেন রামপুরা ইমপেরিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। রামপুরা ব্রিজের ওপর অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা ‘দিয়ে দিয়ে আশ্বাস, আর ভেঙো না বিশ্বাস’সহ নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। এতে সড়কে যানজট শুরু হয়। ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।

একই ধরনের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। তাঁদের সবার দাবি একই।

কোথাও কোথাও অবশ্য ভিন্ন চিত্রও চোখে পড়েছে। যেমন রাজধানীর ধানমন্ডি-২৭ নম্বরে রাপা প্লাজার সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা আন্দোলনে থেকে ট্রাফিক পুলিশের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। বেশির ভাগ গাড়ির কাগজপত্র দেখছেন তাঁরা। সব ঠিকঠাক থাকলে ছাড়া হচ্ছে। না হলে আটকে দেওয়া হচ্ছে। ঠিকই একইভাবে গতকাল শনিবারও রাপা প্লাজার সামনে নেমেছিলেন কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

গতকাল শনিবার এবং আজ রোববার সকাল থেকে নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ, মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ কলেজ, সিটি কলেজ, ঢাকা কলেজ, তেজগাঁও কলেজ, লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজসহ নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাপা প্লাজার সামনে কয়েকশ শিক্ষার্থী হাজির হন। তাঁরা সেখানে নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীদের সড়কে নামার ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বন্ধ হয়ে যায় মিরপুর সড়কের যান চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। শিক্ষার্থীদের দাবি—২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নয় দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বাসে অর্ধেক ভাড়া (হাফ পাস) নিশ্চিতে সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

আনেদালনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, নয় দফা দাবি আদায়ে গত বৃহস্পতিবার তাঁরা সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহ সময় চেয়েছে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারি করা না হলে ওই দিন দুপুরে শিক্ষার্থীরা বিআরটিএ কার্যালয় ঘেরাও করবেন।