নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থেই ওজন স্তর রক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। তিনি বলেন, ‘বায়ুমণ্ডলের গুরুত্বপূর্ণ ওজন স্তর ক্ষয়কারী দ্রব্য বা গ্যাস আমদানি ও ব্যবহার হ্রাসে বাংলাদেশ সফল হয়েছ।’ 

আজ শুক্রবার বিশ্ব ওজন দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রার পর সমাবেশে এসব কথা বলেন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার। শোভাযাত্রাটি শাহবাগ জাতীয় যাদুঘর প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়। 

উপমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিজদের অস্তিত্বের স্বার্থেই ওজন স্তর রক্ষা করতে হবে। জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পবিবেশবান্ধব গ্যাস ও প্রযুক্তির প্রচলন ও প্রসারে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশের প্রাইভেট সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং পিপিপি মডেলে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।’

হাবিবুন নাহার বলেন, ‘ওজন স্তর ক্ষয়কারী গ্যাসসমূহ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় এগুলোর ব্যবহার হ্রাসের মাধ্যমে তাপমাত্রা বৃদ্ধি দুই ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার জন্য ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ।’

সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। 

শোভাযাত্রায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারী, পেশাজীবি সংগঠন এবং বিভিন্ন বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ স্কাউট ও গার্লস গাইডের সদস্যরা অংশ নেন।

১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ওজন স্তর রক্ষার উদ্দেশে বিশ্ব নেতারা কানাডার মন্ট্রিল শহরে ‘মন্ট্রিল প্রটোকল’ নামে একটি প্রটোকল সই করে। 

দিবসটি স্মরণীয় করে রাখা এবং ওজন স্তর রক্ষার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯৫ সাল থেকে বিশ্ব ওজোন দিবস পালিত হচ্ছে। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচির মাধ্যমে এ বছরের নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ‘পঁয়ত্রিশে মন্ট্রিল প্রটোকল- জীবন রক্ষায় অঙ্গীকার অবিচল’ সময়োপযোগী হয়েছে।