অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, শ্যামলী পরিবহণকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঘোঘা বটতলা এলাকায় শ্যামলী পরিবহণের একটি বাসের সঙ্গে একটি অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা দিতে শ্যামলী এনআর পরিবহণকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের আদেশে আজকের মধ্যে ৫ লাখ টাকা ও ১৫ দিনের মধ্যে ৫ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে। আজ বুধবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল দুর্ঘটনার শিকার অ্যাম্বুলেন্সটিতে স্ত্রীর লাশ নিয়ে ফিরছিলেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার কলমা বাজার এলাকার আয়নাল হক। পথে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ঘোঘা বটতলা এলাকায় শ্যামলী পরিবহণের একটি বাস অ্যাম্বুলেন্সটিকে ধাক্কা দেয়। এতে আয়নালসহ দুইজন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন। তারা বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতরা হলেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলার কলমা বাজার এলাকার ফরিদ উদ্দিনের ছেলে আয়নাল হক (৫২) এবং পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার দ্বীন ইসলাম (৩০)। তিনি অ্যাম্বুলেন্সটির চালক ছিলেন।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ট্রাফিক পরিদর্শক একেএম বানিউল আনাম বলেন, ‘ওই দিন বিকেলে বগুড়া থেকে শ্যামলী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস ঢাকা যাচ্ছিল এবং ঢাকা থেকে একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স আসছিল। ঘোঘা বটতলা এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি পৌঁছালে শ্যামলী পরিবহণের একটি বাস সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আয়নাল। আহত হন আরও তিনজন। তাদের উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সচালক দ্বীন ইসলাম মারা যান।’