আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২০

Looks like you've blocked notifications!
নেত্রকোনার মদনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ছবি : এনটিভি

নেত্রকোনার মদনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলমসহ দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার চানগাঁও ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। 

জানা গেছে, সংঘর্ষে আহত বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) খোরশেদ আলম, পুলিশ সদস্য আজিজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কর্মী শরিফুল ইসলাম, রিপন, বুলবুল আহমেদ, রোকন মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মোশারফ, সাগরকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মদন উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বিক্ষোভ মিছিলের জন্য চানগাঁও ইউনিয়নের শাহপুর ঈদগাহ মাঠে জড়ো হয়। বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখে আওয়ামী লীগ, তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও একই স্থানে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় উভয় পক্ষই ইট-পাটকেল ছুড়তে শুরু করে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে আমাদের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ায়। এতে আমাদের সাত নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

মদন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার খান এখলাছ বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের দেখে বিএনপির নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে তাদের ওপরও ইট ছোড়া হয়। আমাদের সাতজন নেতাকর্মীকে আহত অবস্থায় মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা করা হবে।’

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচির খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। দুই পক্ষের উত্তেজনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যেতেই বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর ইট-পাটকেল ছোড়ে। এতে আমি ও আমার দুই পুলিশ সদস্য আহত হই। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’