আগামীকাল রাতে ১ মিনিট অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকবে দেশ

Looks like you've blocked notifications!
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে দেশের খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনারা। ছবি : সংগৃহীত

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত স্মরণে আগামীকাল শুক্রবার রাত ৯ থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন (ব্ল্যাকআউট) রাখা হবে। তবে কেপিআই ও জরুরি স্থাপনাগুলো এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। এ দিন রাতে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা করা যাবে না।

আজ বৃহস্পতিবার মুক্তযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এক মিনিটের ব্লাকআউট কর্মসূচিতে যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটতে পারে, সেজন্য ব্যাপক নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, এ ছাড়া ২৬ মার্চ জাতীয় স্মৃতিসৌধে সকল অনুষ্ঠান যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, সেজন্য কয়েক স্তরের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। রাজধানী থেকে সাভার স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত যানজটমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিদেশিদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী প্রদান করবেন। এদিন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে সকাল ১০টায় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে।  সারা দেশে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গীতিনাট্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।         

এছাড়া স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে ২৫ মার্চ গণহত্যার স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা হবে। ঢাকাসহ সকল সিটি করপোরেশনের মিনিপোলগুলোতে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করা  হবে।  ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে, এদিন বাদ জোহর দেশের সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়গুলোতে সুবিধাজনক সময়ে প্রার্থনা করা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।