‘আগামী নির্বাচনের পর দুর্নীতির মূল উৎপাটন করবেন প্রধানমন্ত্রী’

Looks like you've blocked notifications!
পাবনার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের ল্যাপটপ ও ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে আজ সোমবার বক্তব্য দেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। ছবি : এনটিভি

ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ ঘোষণার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সব কাজ স্মার্টভাবে করার পরিকল্পনা করছে। আগামী নির্বাচনের পর দুর্নীতির মূল উৎপাটন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

পাবনার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের ল্যাপটপ ও ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে আজ সোমবার (৬ মার্চ) সকালে ডেপুটি স্পিকার এসব কথা বলেন। পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাতেমা তুজ জান্নাতের সভাপতিত্বে এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শামসুল হক টুকু আরও বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নপূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই স্বাস্থ্য খাতের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, রাস্তা, ব্রিজ, চিকিৎসা খাতের উন্নয়নের জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যরা যতদিন ক্ষমতায় ছিল ততদিন স্বাস্থ্যসহ সকল খাতকে পিছনের দিকে নিয়েছে।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘সামনে আসছে জাতীয় নির্বাচন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বঙ্গবন্ধুর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও জয়যুক্ত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আগামী নির্বাচনের পর দুর্নীতির মূল উৎপাটন করবেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের সকলকেই স্মার্ট নাগরিক হতে হবে। স্মার্ট নাগরিক হিসাবে গড়ে উঠতে হলে প্রথমে দেশপ্রেমিক হতে হবে। শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবলে চলবে না। এলাকার সমাজের ও দেশের মানুষের কথা ভাবতে হবে।’

শামসুল হক টুকু বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে নিরস্ত্র জনতাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন। ২৫শে মার্চের কালরাতে ভয়াবহতা সম্পর্কে আপনারা জানেন। ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। আমরা ৯ মাস যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ ছিলাম স্বাধীন সর্বভৌমত্ব রক্ষায়। এই বাংলাদেশকে একটা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে; বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসাসহ মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি অপরাধমুক্ত ধূমপানমুক্ত মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হলে নিজ নিজ কর্মস্থলকে আপন ভাবতে হবে। শুধু ৯টা থেকে ৫টা সময় ক্ষেপণ করে বেতন উত্তোলন করা নয়। স্বাস্থ্যসেবাকে নিশ্চিত করা পাঁচটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে একটি।’

ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে অনেকগুলো পুরস্কার পেয়েছেন। সারা বিশ্বের মধ্যে ভ্যাকসিন হিরোর পুরস্কার পেয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী। গত দুই দিন আগে জাতিসংঘের মহাসচিবের সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।’