আগামী বছর শুরু হচ্ছে পাতালরেলের কাজ
আগামী বছর মার্চে ঢাকায় পাতাল মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শুরু হবে। দুটি অংশে সম্পন্ন হবে এই কাজ। এর মধ্যে রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার পাতাল অংশ নির্মাণ করা হবে। একই প্রকল্পের আওতায় নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার উড়ালপথ নির্মাণ করা হবে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
অনলাইনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে এম এ এন ছিদ্দিক পাতালরেল প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয় সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ‘২০২৬ সালে পাতালরেলে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে বলে আমরা আশা করছি। এরই মধ্যে প্রথম প্যাকেজে ডিপোর ভূমি উন্নয়ন ও আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণকাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তার ছয় মাসের মধ্যে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জে ডিপো নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।’
ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ঢাকায় পাতালরেলের জন্য ২৫টি ট্রেন কেনা হবে। প্রতিটি ট্রেনে আটটি করে কোচ থাকবে। একেকটি ট্রেনে একসঙ্গে তিন হাজার ৮৮ যাত্রী পরিবহন করা যাবে। আর পুরো লাইনটি দিয়ে প্রতিদিন আট লাখ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে। রেললাইনটি নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা।
২০১৯ সালের ১৬ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) পাতালরেল সংক্রান্ত ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটি) লাইন-১ ও লাইন-৫ প্রকল্প অনুমোদন দেয়। প্রকল্প দুটিতে বড় অংকের ঋণ সহায়তা দেবে জাপানের সংস্থা জাইকা। এর মধ্যে এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পটি হবে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর স্টেশন এবং নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের খরচ ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকার মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১৩ হাজার ১১১ কোটি টাকা এবং জাইকা থেকে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা ঋণ হিসাবে পাওয়া যাবে।
একনেকে অনুমোদনের পর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগে এবং যতটা সম্ভব অর্থ সাশ্রয় করে প্রকল্প দুটি সমাপ্ত করা হবে। এই মেট্রোরেল হবে ব্যয়সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক। ইলেকট্রনিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে ফলে নির্দিষ্ট সময় এমনকি সেকেন্ডের হিসাবও ঠিক থাকবে।