আগাম বেতন বোনাস দিয়ে পোশাক শ্রমিকদের লম্বা ছুটি : সেলিম ওসমান

Looks like you've blocked notifications!
ঈদ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে বিকেএমইএয়ের সভাপতি সেলিম ওসমান তার নিজ পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই হাজার শ্রমিকদের মধ্যে ঈদ বোনাস ও ঈদ উপহার হিসেবে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। ছবি : এনটিভি

রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের ১৪ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লম্বা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিকেএমইএয়ের সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান। পাশাপাশি এপ্রিল মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে বিকেএমইএয়ের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান তাঁর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নিজ পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই হাজার শ্রমিকদের মধ্যে ঈদ বোনাস ও ঈদ উপহার হিসেবে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সেলিম ওসমান বলেন, ‘কোনো ফ্যাক্টরি ১৩ আবার কোনো ফ্যাক্টরি ১৪ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হলেও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি কবে থেকে আবার ফ্যাক্টরি চালু করা হবে। লম্বা ছুটি দেওয়ার কারণ বেশিরভাগ ফ্যাক্টরিগুলোতে র ম্যাটেরিয়ালস নেই।’

সেলিম ওসমান আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে চিঠি দিয়ে সব শিল্প মালিকদের বেতন বোনাস পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এবারের ঈদ এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি হওয়ায় মার্চের বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়া হয়েছে। ঈদে লম্বা ছুটিতে বেশিরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানে অর্ডারও নেই।’

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, ‘এখন পর্যন্ত মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কোথাও কোনো অসন্তোষ সৃষ্টি হয়নি। কোনো শ্রমিক নেতা যদি শ্রমিক অশান্তির সৃষ্টি করে তাহলে ধরে নিতে হবে তিনি একজন দেশদ্রোহী। শ্রমিকদের জন্যে নয় দেশের একটি ক্ষতি করার জন্য অসন্তোষের চেষ্টা করা হয়। বিকেএমইএ’র অধীনস্থ শিল্প মালিক এবং শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি না করার অনুরোধ রইলো শ্রমিক নেতাদের প্রতি।’

বিকেএমইএয়ের সভাপতি আরও বলেন, ‘এবারের ঈদ চ্যালেঞ্জিংয়ের ব্যাপার, এমন কোন জিনিস নাই যে দাম বাড়েনি। তাঁর সঙ্গে পোশাক শিল্পের সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও র ম্যাটেরিয়ালস এর মূল্য বৃদ্ধির কারণে কোনোভাবে টিকে উঠতে পারা যাচ্ছে না। পোশাক রপ্তানি করা হয় সেই আয়টাও বাড়ানো যাচ্ছে না। বিদেশি বায়াররা কোনো অবস্থায় পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি করতে চাচ্ছে না। এই সমস্যাটা শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বব্যাপী। তাছাড়া ডলার নিয়ে সমস্যা। এক্ষেত্রে পোশাক মালিকদের, পোশাক শিল্প টিকিয়ে রাখতে বড় চ্যালেঞ্জিং এর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।’