আজ সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী
আজ ২০ মার্চ সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী। নানান কর্মসূচিতে তার জন্মস্থান ভৈরবে দিনটি পালন করছে উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ।
দিবসটি উপলক্ষে ভৈরব উপজেলা প্রশাসনের দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—সকাল ১০টায় উপজেলা চত্বরে জিল্লুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। বেলা ১১টায় শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা। এরপর আলোচনা সভা ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। এছাড়া আজ বাদ আসর বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা ও মন্দিরে বিশেষ দোয়া, মিলাদ ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।
এসব কর্মসূচির তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ।
এদিকে, আজ সোমবার বেলা ১১টায় স্থানীয় সরকারি কাদির বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ে যৌথভাবে দোয়া ও তবারক বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ।
অহিংস রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ, ভাষাসৈনিক ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জিল্লুর রহমান দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি থাকাকালে ২০১৩ সালের ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।
এর আগে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সংসদের উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া স্বাধীনতার পর তিনবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
১৯২৯ সালের ৯ মার্চ বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জিল্লুর রহমান। মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। সে সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
দেশের বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রাম ও ক্রান্তিলগ্নে জিল্লুর রহমানের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। দলমত নির্বিশেষে তিনি সবার কাছে সমভাবে গ্রহণযোগ্য ছিলেন। এজন্য তিনি ভৈরব-কুলিয়ারচর আসন থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচত হয়েছেন।
জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, যিনি ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের দলীয় জনসভায় গ্রেনেড হামলায় মারা যান। তাদের সন্তান নাজমুল হাসান পাপন বর্তমানে সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি।