আদালতের কাঠগড়ায় কাঁদলেন বাবুল, সঙ্গে সন্তানরাও

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে বাবার সঙ্গে দেখা করতে প্রবেশের অপেক্ষায় বাবুল আক্তার-মিতু দম্পতির ছেলে-মেয়ে ও বর্তমান স্ত্রী। ছবি : এনটিভি

চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বাবুল আক্তার-মিতু দম্পতির ছেলে ও মেয়ে বাবার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল আজ মঙ্গলবার (২ মে)। দুপুর ১২টায় আদালতে হাজির করা হয় বাবুলকে। এর পর পরই এ দম্পতির দুই সন্তান ও বর্তমান স্ত্রী আদালতে আসেন। আদালতের কাঠগড়ায় হাতকড়া পরা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা (এসপি) বাবুল আক্তার। তখন পাশে গিয়ে দাঁড়ায় ছেলে ও মেয়ে।

এ সময় বাবা বাবুল আক্তারের গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে থাকে ছেলে। তখন কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এ সময় পুলিশ এসে সন্তানদের আদালতকক্ষ থেকে বাইরে গিয়ে বসতে বলে। তখন বাবুল আক্তার বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 

বিচারক বাবুলের সন্তানদের মামলার কার্যক্রম শুরু না হওয়া পর্যন্ত বসতে বলেন। মামলার কার্যক্রম শুরু হয় এর ৫০ মিনিট পর। পুরো ৫০ মিনিটই বাবুলের এক হাত ছিল মেয়ের মাথায়। মেয়ে চুপচাপ বাবার স্পর্শ অনুভব করছিল। কখনও কখনও কান্না করছিল। অনেক দিন পর বাবা-সন্তানদের এমন মিলন ও কান্নার দৃশ্য আদালতে অঙ্গনে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি করে।

এরপর দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মিতু হত্যা মামলায় তাঁর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন আজ সাক্ষ্য দেন।

নিহত মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন তাঁর সাক্ষ্যে মিতুকে হত্যায় বিভিন্ন সময় মুছাকে বাবুল আক্তার নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ করেন। ২০১৬ সালের ১ জুন সকালে একবার চেষ্টা করেও মিতুকে খুন করতে পারেননি বলেও তাঁর সাক্ষ্যে অভিযোগ করেন তিনি।

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, মিতু হত্যার দায় জঙ্গিদের ঘাড়ে চাপাতে এবং আসামিদের বাঁচাতে তথ্য গোপন করে বাবুল ঘটনার পরই তড়িঘড়ি করে নিজে বাদী হয়ে মামলা করেন।

সাক্ষ্য দেওয়া শেষ হলে সাবেক এ পুলিশ কর্মকর্তাকে জেরা শুরু করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী। জেরা অসমাপ্ত রেখে দিনের কার্যক্রম শেষ হয়। আদালত মামলার পরবর্তী জেরার দিন ধার্য করেন আগামী ৮ মে।