আন্তর্জাতিক এটিএম কার্ড ক্লোনিং চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। ছবি : এনটিভি

ভারতীয় পুলিশের হেফাজত থেকে পলাতক আন্তর্জাতিক এটিএম কার্ড ক্লোনিং স্ক্যামিং চক্রের মূলহোতাসহ দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান-১ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, হাকান জানজুরখান ও মফিউল ইসলাম। এসময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, ১৫টি ক্লোন কার্ডসহ মোট ১৭টি কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত হাকান জানজুরখান তুরস্কের নাগরিক। তিনি আন্তর্জাতিক এটিএম কার্ড ক্লোনিং স্ক্যামিং চক্রের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। গত ২ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন বুথে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া, নিউজল্যান্ড, ইউএসএ, ভারত, তুরস্ক, সৌদি আরব, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, ভিয়েতনাম, যুক্তরাজ্য, কানাডা, বলিভিয়া, স্পেন, ফিনল্যান্ড, নরওয়েসহ প্রায় ৪০টি দেশের নাগরিকের ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করে স্ক্যামিংয়ের মাধ্যমে কমপক্ষে ৮৪ বার টাকা উত্তোলনের জন্য চেষ্টা করেন। ইস্টার্ন ব্যাংক লিঃ এন্টি স্ক্যামিং টেকনোলজি ব্যবহার করায় অ্যালার্ম সিস্টেমের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হয়ে হ্যাকার কর্তৃক স্ক্যামিং রোধ করতে সক্ষম হয়।’

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘হাকান ২০১৯ সালে ভারতের আসাম রাজ্যের পল্টনবাজার পুলিশ স্টেশনের এটিএম স্ক্যামিং মামলায় অন্য এক তুরস্কের নাগরিক এবং দুই বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার হন। ওই ঘটনায় তিনিসহ গ্রেপ্তারকৃতরা ভারতের বিভিন্ন এটিএম বুথ থেকে কার্ড ক্লোনিং করে প্রায় ১০ লাখ রুপি আত্মসাৎ করেন। ভারতে প্রায় ২০ মাস জেলে থাকার সময় আগরতলার GOVIND BALLABH PANT HOSPITAL (GBP HOSPITAL) এর পুলিশ হেফাজত থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাকান সুকৌশলে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে এক ভারতীয়র সহায়তায় দুই লাখ রুপির বিনিময়ে সিকিম হয়ে নেপালে পৌঁছান। সেখান থেকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে নিজ দেশে ফিরে যান। ইতোপূর্বে হাকান বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন। সর্বশেষ তিনি গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পুনরায় বাংলাদেশে আসেন। হাকান রাজধানীর দ্যা ক্যাপিটাল হোটেল অবস্থান করছিলেন’, যোগ করেন মো. আসাদুজ্জামান।

এই চক্রে তুরস্ক, বুলগেরিয়া, মেক্সিকো, ভারত, বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক জড়িত আছে বলে জানান মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘এ সংক্রান্তে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি করা মামলায় রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’