আন্দোলন নস্যাৎ করতে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে আ.লীগ : মির্জা ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় যৌথ সভা শেষে আজ বৃহস্পতিবার বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : এনটিভি

দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যে আন্দোলন চলমান রয়েছে তাকে নস্যাৎ করার জন্য তারা (আওয়ামী লীগ) পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে আমাদের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা যখনই কর্মসূচি দিচ্ছি তখন একই সময় তারা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা যে ভাষা ব্যবহার করছে সেটা সম্পূর্ণভাবে সন্ত্রাস করছে।’

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এক যৌথ সভা শেষে আজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ সন্ত্রাস করে আন্দোলনকে দমন করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এর প্রতিবাদে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সমাবেশ করবে বিএনপি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার বাংলাদেশের সমস্ত অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে গণতন্ত্রে যে কাঠামো সেটা ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল তারা যে তথাকথিত নির্বাচন অনুষ্ঠান করল (ছয়টি উপনির্বাচন), এই উপনির্বাচনে ভোট প্রদানের হার তাদের হিসাব অনুযায়ী ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। আমাদের হিসাব মতে এটা ৫ শতাংশের বেশি না। আজ পত্র-পত্রিকায় ছবিগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন একেবারে ২০১৪ সালের কুত্তা মার্কা নির্বাচনের মতো। ভোটকেন্দ্রে কুকুর শুয়ে আছে। আওয়ামী লীগ এই পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে। গণতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে তারা ধ্বংস করে ফেলেছে।’

২০২০ সালের ২৭ জানুয়ারি জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবেকে ফখরুল চিঠি দিয়েছিলেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের এই মন্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরাতো বহু লোককে চিঠি দিয়েছি, বহু দেশকে চিঠি দিয়েছি। অবশ্যই দিয়েছি। এটা তো অস্বীকার করিনি। দেশের চলমান যে শাসন ব্যবস্থা, আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে, দুর্নীতি-লুটপাটের মধ্য দিয়ে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে গুম করছে, খুন করছে, প্রতিমুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, এগুলা আমরা সারা পৃথিবীকে জানিয়েছি।’

আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে এই যৌথ সভার আয়োজন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার এজেডএম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি নেতা মীর শরাফত আলী সপু, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক প্রমুখ।