আপনাদের ছেলেমেয়েরা তো বিদেশে থাকে, মানুষকে বাঁচান : হাইকোর্ট

Looks like you've blocked notifications!
হাইকোর্ট। এনটিভির ফাইল ছবি

দূষণের মাধ্যমে মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে হাইকোর্ট বলেন, ‘দূষণের মাধ্যমে মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে। তাদের (মানুষকে) বাঁচান। এখানকার বায়ুদূষণে আপনাদের তো কোনো সমস্যা নেই। কারণ, আপনাদের ছেলেমেয়েরা তো বিদেশে থাকে।’

দূষণ সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষে আজ রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। পরে আদালত বায়ুদূষণ রোধে আগের দেওয়া ৯ দফা ও পাঁচ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দেন।  

আদালতের আদেশে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেন, ‘আমাদের ডাইরেকশনের কোনো রিফ্লেকশন নেই।’

আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। 

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) করা এক রিটের ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট বায়ুদূষণ রোধে ৯ দফা নির্দেশনাসহ আদেশ দিয়েছিলেন।

ওই ৯ দফার মধ্যে ছিল—ঢাকা শহরে মাটি/বালু/বর্জ্য পরিবহণ করা ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা, নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালু/সিমেন্ট/পাথর/নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, সিটি করপোরেশন রাস্তায় পানি ছিটাবে ও রাস্তা/কালভার্ট/কার্পেটিং/খোঁড়াখুঁড়ির কাজে দরপত্রের শর্ত পালন নিশ্চিত করা, সড়ক পরিবহণ আইন অনুসারে গাড়ির চলাচল সময়সীমা নির্ধারণ ও উত্তীর্ণ হওয়া সময়সীমার পরে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা, পরিবেশগত সনদ ছাড়া চলমান টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ করা, মার্কেট/দোকানের প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যাগে ভরে রাখা এবং বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করা।