আবারও সংশোধনের সুযোগ পেল প্রজেক্ট হিলসা

Looks like you've blocked notifications!
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য শাহনওয়াজ দিলরুবা খানের (যুগ্ম সচিব) নেতৃত্বে মনিটরিং টিম আজ সোমবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটসংলগ্ন ‘প্রজেক্ট হিলসা’ পরিদর্শন করেন। ছবি : নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য শাহনওয়াজ দিলরুবা খানের (যুগ্ম সচিব) নেতৃত্বে মনিটরিং টিম আজ সোমবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটসংলগ্ন ‘প্রজেক্ট হিলসা’ পরিদর্শন করে। পরিদর্শনকালে প্রজেক্টের বেকারি শাখায় মেয়াদোত্তীর্ণ ফুড এডিটিভ পাওয়া যায়।

এ সময় চিলারের অপরিষ্কার মেঝেতে অনিয়ন্ত্রিত  তাপমাত্রায় ও উন্মুক্ত অবস্থায় হিমায়িত খাবার সংরক্ষণ, ফ্রিজে একইসঙ্গে কাঁচা ও রান্না করা খাবার সংরক্ষণসহ অন্যান্য অনিয়ম লক্ষ করা যায়। তা ছাড়া, প্রজেক্টের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স ও খাদ্য কর্মীদের স্বাস্থ্যসনদ প্রদান করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য শাহনওয়াজ দিলরুবা খানের (যুগ্ম সচিব) নেতৃত্বে মনিটরিং টিম আজ সোমবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটসংলগ্ন ‘প্রজেক্ট হিলসা’ পরিদর্শন করেন। ছবি : নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ফেসবুক পেজে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং টিম মেয়াদোত্তীর্ণ ফুড এডিটিভ জব্দ করে এবং সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে। প্রজেক্ট হিলসা কর্তৃপক্ষ আগামী এক মাসের মধ্যে সব বিষয় সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে।

অভিযানকালে মনিটরিং অফিসার এম ইমরান হোসেন মোল্লা, মো. আসলাম উদ্দীন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শওকত হোসেন, সহকারী পরিচালক আসমা উল হোসনাসহ কর্তৃপক্ষের অন্যা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য শাহনওয়াজ দিলরুবা খানের (যুগ্ম সচিব) নেতৃত্বে মনিটরিং টিম আজ সোমবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটসংলগ্ন ‘প্রজেক্ট হিলসা’ পরিদর্শন করেন। ছবি : নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

এর আগে ১৬ জুন দুপুরে প্রজেক্ট হিলসায় অভিযান চালায় মুন্সীগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে রেস্টুরেন্টেটির বাবুর্চি ও কর্মচারীদের টয়লেটের পর সাবান বা টিস্যু ব্যবহার না করার প্রমাণসহ বেশ কিছু অনিয়ম দেখতে পায়।

অভিযানের বিষয়ে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ বলেন, অভিযানে রেস্তোরাঁটিতে অতিথিদের টয়লেটে সাবানের ব্যবস্থা থাকলেও বাবুর্চি ও স্টাফদের টয়লেটে কোনো সাবান বা লিকুইড সাবান পাওয়া যায়নি। টয়লেটের পর বাবুর্চিরা সাবান ব্যবহার করছিলেন না। এ ছাড়া সেখানে কোনো টিস্যুও পাওয়া যায়নি। টয়লেট ব্যবহারের পর তারা পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করেন। তারা দাবি করেন, লিকুইড সাবান ব্যবহার করছিলেন। রিফিল করতে নিয়ে গেছেন। শুধু কি কিচেনের সাবানই একসঙ্গে শেষ হয়ে গেছে? এর কোনো উত্তর দিতে পারেনি। শুধু পানি দিয়েই হাত পরিষ্কার করছিলেন।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য শাহনওয়াজ দিলরুবা খানের (যুগ্ম সচিব) নেতৃত্বে মনিটরিং টিম আজ সোমবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটসংলগ্ন ‘প্রজেক্ট হিলসা’ পরিদর্শন করেন। ছবি : নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

প্রতিষ্ঠানটির টয়লেটে আলাদা স্যান্ডেল নেই উল্লেখ করে আসিফ আল আজাদ বলেন, সেখানে প্রায় ১০০ কর্মচারী রয়েছেন। তারা রান্নাঘরে ব্যবহারের স্যান্ডেল পরেই টয়লেটে যান। আবার সেই স্যান্ডেল রান্নাঘরে ব্যবহার করেন। তাদের টয়লেটের জন্য আলাদা কোনো স্যান্ডেল নেই। এটা খুবই অস্বাস্থ্যকর। সাধারণত মানুষ ঘরেও আলাদা আলাদা স্যান্ডেল ব্যবহার করে। কিন্তু এখানে চিত্রটি সম্পূর্ণই ভিন্ন। 

আসিফ আল আজাদ জানান, কিচেন পরিষ্কার থাকলেও ফ্রিজে কাঁচা মাছ-মাংসের সঙ্গে রান্না করা খাবারও মজুদ রাখা হয়েছিল। যা ঠিক নয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের  (বিএসটিআই) অনুমোদনহীন বিপুল পরিমাণের সস ও নুডলস পাওয়া গেছে। এসব পণ্যের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন লাগবে।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য শাহনওয়াজ দিলরুবা খানের (যুগ্ম সচিব) নেতৃত্বে মনিটরিং টিম আজ সোমবার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটসংলগ্ন ‘প্রজেক্ট হিলসা’ পরিদর্শন করেন। ছবি : নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জানান, এক-দেড় হাজার মানুষের জন্য রান্না করার মতো খাবার মজুদ ছিল। অর্থাৎ এসব খাবারের মধ্যে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন সস, নুডলস ছিল। আলুবোখারা, কিসমিসের প্যাকিং সময় ও মেয়াদ উত্তীর্ণের কোন সময় ছিল না।

এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে তাদেরকে কোনো জরিমানা করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আসিফ আল আজাদ জানান, যেহেতু রেস্টুরেন্টটি চালু হয়েছে অল্প কিছু দিন হয়েছে, তাই আইনকানুন সম্পর্কে ভালোভাবে জানে না। তাদেরকে নিয়ম-কানুন জানানো হয়েছে। প্রথমবারের মতো তাদের সতর্ক করা হয়েছে এসব ত্রুটি সংশোধন করার জন্য। পরবর্তীতে নিয়ম অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।