আমাদের দেশের শ্রমিকরা এখন ক্রীতদাস : জাপা চেয়ারম্যান

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আজ সোমবার বনানীর নিজ কার্যালয়ে মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় শ্রমিক পার্টির আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। ছবি : জাপা

আমাদের দেশের শ্রমিকরা এখন ক্রীতদাস বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। আজ সোমবার (১ মে) দুপুরে বনানীর নিজ কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক পার্টি আয়োজিত মহান মে দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ক্রীতদাসদের বাঁচিয়ে রাখা হয় শুধু কাজ করার জন্য। সেভাবেই আমাদের শ্রমিকদের বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে। শ্রমিকদের রক্ত চুষে খাচ্ছে মালিকরা। ক্রীতদাসত্ব থেকে শ্রমিকদের রক্ষা করতে হবে।’

গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, ‘দেশে মানুষের অধিকার আছে? মানুষ কি রাস্তায় নামতে পারছে?’ তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আইন আছে, কিন্তু তার বাস্তবায়ন নেই।  শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আইন বাস্তবায়নে সরকারের কোন আন্তরিকতা নেই।’

জিএম কাদের বলেন, ‘সামনের দিকে রাজনীতি হবে মানুষের অধিকার রক্ষার রাজনীতি। মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার সংগ্রাম শুরু হবে। যে অধিকারের জন্য দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে সেই অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সংগঠনগুলোও শক্তিশালী ছিল। সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা শ্রমিকদের স্বার্থ কুক্ষিগত করছে। তারাও শ্রমিকদের অধিকার বঞ্চিত করে নিজেরা ফায়দা লুটছে। আইন অনুযায়ী শ্রমিকরা অধিকার পাচ্ছে না। সমতা ভিত্তিক ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক সমাজ গড়ার সংগ্রামে শ্রমিক শ্রেণিকে এগিয়ে আসতে হবে।’

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংসদে আমরা কথা বলতে পারি। সংসদে আমরা অনেক দাবি করি, সরকার সে দাবি মানলে আমাদের ভোট ও জনপ্রিয়তা বেড়ে যাবে। এ কারণেও সরকার বিরোধীদলের কথা শোনেন না। এভাবেই দেশ চলছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের আইনগত অধিকার নেই। দেশের মানুষের ফোন ও গতিবিধি নজরদারি করা হচ্ছে। এটা করার অধিকার কারোরই নেই।’

জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মানুষের কথা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, লেখার অধিকার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সংবাদ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আইন তৈরি করা হচ্ছে। খুন-গুমের মাধ্যামে মানুষের বাঁচার অধিকার হরণ করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। আগামী দিনে অনেক বড় সংগ্রাম আছে, এই সংগ্রামে জিততে হবে।’

এসময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি এ কে এম আশরাফুজ্জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু।

জাতীয় শ্রমিক পার্টির নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন আব্বাস আলী মন্ডল, মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুস সাত্তার, তোফাজ্জেল হোসেন তোফা, মিনহাজ আবেদীন বিশাল, আব্দুল মান্নান মিলন, ফজর আলী জাকির, শামীম শেখ প্রমুখ।