আমিনবাজারে সেতু ভেঙে পড়ায় দুই শতাধিক পণ্যবাহী নৌযান আটকা

Looks like you've blocked notifications!
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বালুবাহী একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে গাবতলী-আমিনবাজার সেতুসংলগ্ন পরিত্যক্ত লোহার তৈরি বেইলি সেতু। ছবি : এনটিভি

তুরাগ নদে ভেঙে পড়া আমিনবাজার সেতু অপসারণ না করায় বন্ধ হয়ে গেছে আমিনবাজার-আশুলিয়া গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় সেতুর দুপাশে আটকে পড়েছে দুই শতাধিক পণ্যবাহী নৌ-যান। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বালুবাহী একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে গাবতলী-আমিনবাজার সেতুসংলগ্ন পরিত্যক্ত লোহার তৈরি বেইলি সেতু।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিটিএ) গত তিন দিনে ভেঙে পড়া সেতুটির গার্ডার অপসারণ না করায় মারাত্মক দুর্ভোগের কবলে পড়েছেন নৌপথ ব্যবহারকারীরা।

স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন গন্তব্য থেকে সদরঘাট হয়ে যেসব পণ্যবাহী নৌযান আশুলিয়া ল্যান্ডিং স্টেশন, বিরুলিয়া, রুস্তমপুর, সাভার, মিরপুর দিয়াবাড়ি ও গাজীপুর এলাকায় যায় তাদের এই নৌপথ ব্যবহার করতে হয়।

পণ্যবাহী নৌযান ছাড়াও এই নৌপথ ব্যবহার করে বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফার্নেস অয়েল সরবরাহ করা হয়। নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় গাজীপুরের কড্ডায় সামিট পাওয়ার প্ল্যান্টে ফার্নেস অয়েল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার কারণে মারাত্মক আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বিআইডব্লিউটিএ’র ট্রাফিক সুপারভাইজার কোরবান আলী জানান, পুরোনো পরিত্যক্ত এই সেতুটি অপসারণ করার কথা ছিল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের। কিন্তু তীব্র স্রোতের কারণে সেতুটি অপসারণ করা যায়নি।

অবশেষে সেতুটি অপসারণে নারায়ণগঞ্জ থেকে পাঁচ জন ডুবুরি আনা হয়েছে। এ ছাড়াও এই কাজে ভাড়া করে আনা হয়েছে বার্জ ও ক্রেন।

আগামী তিন দিনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথ চালু করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে বলেও জানান কোরবান আলী।