আরাভ খানের অজানা তথ্য জানালেন পাশের গ্রামের যুবক

Looks like you've blocked notifications!
রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান আপন। ছবি : আরাভ খানের ফেসবুক আইডি থেকে নেওয়া

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার রবিউল ইসলাম ভারতে গিয়ে নাম পরিবর্তন করে হয়ে যান আরাভ খান। পুলিশ বলছে, এই আরাভ খানই মূলত ঢাকার স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার পলাতক আসামি। 

তাঁর গ্রামে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে আরও নানা তথ্য। মোটরসাইকেল ছিনতাই ছিল আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম ওরফে আপনের নেশা। ঢাকায় থাকাকালীন বড়লোকের সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে কৌশলে তিনি মোটরসাইকেলসহ দামি জিনিসপত্র ছিনতাই করতেন। ধরা পড়ে মোটরসাইকেল ফেরতও দিয়েছেন একবার। এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন পার্শ্ববর্তী কাঠি গ্রামের যুবক আরমান খান জয়।

গ্রামবাসী গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অর্থের খবর জেনে হতবাক। একাধিক বিয়ের তথ্যও জানান গ্রামবাসী। এলাকাবাসী তাকে সোহাগ মোল্লা নামে চেনে। তার বাবার নাম মতিয়ার রহমান মোল্লা। মায়ের নাম লাকী বেগম। তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের আশুতিয়া গ্রামে। তার বাবা বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলা সদরে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসা করতেন। আপন সেখানে পড়াশোনা করতেন। ঈদ বা বিভিন্ন সময়ে সে গ্রামে আসতেন। ব্যবসায় মন্দাভাব দেখা দিলে আরাভ খানের পিতা পরিবারের লোকজন নিয়ে চিতলমারী থেকে গ্রামের বাড়ি আশুতিয়া গ্রামে চলে আসেন। পরে তিনি কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর সম্প্রতি বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে দিয়ে দুবাইয়ে তার স্বর্ণের দোকানের শোরুম উদ্বোধন করা হবে- এই ঘোষণার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন আরাভ খান। চলচ্চিত্র পরিচালক-উপস্থাপক দেবাশীষ বিশ্বাস, চিত্রনায়িকা দিঘী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমকেও দুবাইয়ে আমন্ত্রণ জানান তিনি।

‘আরাভ জুয়েলার্স’নামের ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক আরাভ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণাটি ছড়িয়ে পড়ার পর নড়েচড়ে বসে গোয়েন্দারা। দীর্ঘদিন ধরে যাকে খোঁজা হচ্ছিল তিনি দুবাইয়ে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে ‘আরাভ জুয়েলার্স’নামে সোনার দোকান দিয়েছেন। কিনেছেন বাড়ি-গাড়ি। দুবাইয়ে রয়েছে তার কোটি কোটি টাকার ব্যবসা।

দুবাইয়ের নিউ গোল্ড সুকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের খ্যাতিমান তারকাদের সম্ভাব্য উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে কয়েকদিন আগে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন রবিউল ওরফে আরাভ। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা টাওয়ারের ৬৫তলায় ফ্ল্যাট কিনেছেন। যার নম্বর ৬৫১০। আরও ৪-৫টি ফ্ল্যাটের মালিক তিনি। পাশাপাশি রয়েছে একটি সুইমিংপুল ও বাগানসহ বড় ডুপ্লেক্স বাড়িও।