আর ভর্তুকি সম্ভব না, ক্রয়মূল্য দিতে পারলে গ্যাস-বিদ্যুৎ দেওয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত ‘বিনিয়োগ ভবন’ উদ্বোধন শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

দেশের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আর ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব না। ক্রয়মূল্য দিতে পারলে গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।’

ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করতে সরকারের নানামূখী উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,  ‘আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি। এখানে দেশি বিনিয়োগকারীরাও এগিয়ে আসতে পারেন।’

প্রধানমন্ত্রী আজ রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নবনির্মিত ‘বিনিয়োগ ভবন’ উদ্বোধন শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রাহমান।

বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১২ টাকা খরচ হয়। আমরা নিচ্ছি মাত্র ৬ টাকা। ইংল্যান্ডে ১৫০ ভাগ দাম বাড়িয়েছে। এটা সবার মনে রাখতে হবে। আমরা কিন্তু এখনো সেই পর্যায়ে যাইনি। তবে আমি আবারও বলব, গ্যাস বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়া যাবে যদি সবাই ক্রয়মূল্য যা হবে সেটা দিতে রাজি থাকে। তাহলে দেওয়া যাবে।’

দেশবাসীর প্রতি প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর কত ভর্তুকি দেওয়া যায়? আমরা এ ক্ষেত্রে কেন ভর্তুকি দেব? ভর্তুকি দিচ্ছি কৃষিখাতে, খাদ্য উৎপাদনে। আমরা করোনা মোকাবিলা করতে বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি, যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পকারখানা চালু থাকে। প্রণোদনা দেওয়ার ফলেই অর্থনীতির গতিটা সচল রয়েছে।’

দেশের অর্থৈনিতক ভিত্তির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা। আমাদের সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাংলাদেশ এখন ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। স্বাধীনতার পরে এ পর্যায়ে আসতে পারবে কেউ ভাবতে পারেনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত সহজ হয়ে যায়। আমরা নিজেদের বাজার সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী সকল ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘মাতৃভাষা বাংলার দাবি আদায়ে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ১৯৭৫ সালে আমি আমার বাবা-মা ও ভাইদেরসহ আত্মীয়-স্বজনকে হারিয়েছি। ভাগ্যক্রমে আমরা দুইবোন দেশের বাইরে থাকায় ওই সময় বেঁচে যাই। পরবর্তীতে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেই আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরে এসেছি। আমি দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে কাজ করছি।’