আ.লীগ নেতাকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর : আসামি ২ দিনের রিমান্ডে

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতাকে খুঁটিতে বেঁধে মারধরের ঘটনার আসামি ইন্দ্রজিত চৌধুরী লিও। ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জিতেন কান্তি গুহকে খুঁটিতে বেঁধে মারধরের ঘটনার অন্যতম আসামি ইন্দ্রজিত চৌধুরী লিওকে (৪৫) দুদিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। গতকাল শনিবার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর আসকার দীঘি এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে আসামি ইন্দ্রজিত চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁর দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ইন্দ্রজিত হাইদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য।

ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের অন্যতম আসামি ইন্দ্রজিত চৌধুরী লিওকে চট্টগ্রাম নগরীর এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বর্তমানে তিনি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। এর আগে এ মামলার আরও চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

গত ২৯ এপ্রিল হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ইফতার মাহফিলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান আহ্বায়ক মাহফুজুল হক হাফেজ অনুষ্ঠান শুরুর আগে ‘ব্যানারে ভুল আছে এবং সংশোধন করতে হবে’ বলে অনুষ্ঠানের ব্যানারটি টেনে খুলে নেন। এ সময় জিতেন গুহ এর প্রতিবাদ করেন। ঘটনার একপর্যায়ে জিতেন গুহর মাথায় ঘুসি দেন ইন্দ্রজিত চৌধুরী লিও। এরপর আরও কয়েক জন জিতেনকে মারধর করে খুঁটিতে বেঁধে রাখে।

এ ঘটনায় জিতেনের ভাই তাপস গুহ বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলা করেন। ইন্দ্রজিত চৌধুরী লিও এ মামলার ৪ নম্বর আসামি। ঘটনার পর তিনি গা ঢাকা দেন। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বি এম জসিম ও তাঁর ছেলেসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।