আশুলিয়ায় কুকুরের মাংস দিয়ে কাচ্চি বিক্রির অভিযোগ, গ্ৰেপ্তার মালিক
সাভারের আশুলিয়ায় কুকুরের মাংস দিয়ে কাচ্চি বিরিয়ানি বিক্রির অভিযোগে বিরিয়ানি হাউসের মালিক রাজীবকে গ্ৰেপ্তার করেছে পুলিশ। আলামত হিসেবে পুলিশ ওই বিরিয়ানি হাউজের মাংস এবং হাড্ডি জব্দ করে পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন রাজীবের অন্যতম সহযোগী বিল্লাল হোসেন। রাজীব বরিশাল জেলার মুলাদি থানার নুনচর গ্রামের চুন্নু হাওলাদারের ছেলে। আশুলিয়ার বিভিন্নস্থানে ‘আল্লাহর দান’ নামে তার ৭টি বিরিয়ানি দোকানের শাখা রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই তুলনামূলক কম দামে খাসির কাচ্চি ও বিরিয়ানি বিক্রি করে আসছিলেন রাজীব। এ কারণে তার ব্যবসাও ছিল জমজমাট।
আলমগীর হোসেন নামের এক ক্রেতা জানান, তিনি নিয়মিত কাচ্চি খান। রোববার দুপুরে ওই দোকানে কাচ্চির মাংস মুখে দিতেই তার সন্দেহ হয়। কিসের মাংস তা জিজ্ঞেস করতেই খাসি বলে জানানো হয়। সন্দেহ দানা বাঁধতেই খাবার শেষ না করেই ১৮০ টাকা দিয়ে চলে যান।
রাজীব ও তার সহকারী বিল্লাল কুকুরের মাংস সংগ্রহ করে তা খাসি বলে চালিয়ে বিক্রি করছেন- গত রোববার রাতে বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে তথ্য সংগ্রহে রাত ১২টার দিকে আশুলিয়ার নারসিংহপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আল্লাহর দান ৫ নামের দোকানে যান গণমাধ্যমকর্মীরা।
এ সময় বিরিয়ানির দোকানের মালিকের রাজীবের অন্যতম সহকারী ও চাচাতো ভাই বিল্লাল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সাংবাদিকদের অর্থের প্রলোভন দেখানো। এক পর্যায়ে গণমাধ্যম কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিরিয়ানি হাউজের মালিক রাজীবকে গ্ৰেপ্তার করে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত রায় বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। আলামত হিসেবে বিরিয়ানির দোকানের মাংস ও হাড্ডি জব্দ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। খাসি বলে কুকুরের মাংস বিক্রির ঘটনা জানাজানি হওয়ার ওই বিরিয়ানির দোকানের সকল শাখা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।