আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার সময় র‍্যাবের গুলি, নিহত ১

Looks like you've blocked notifications!
নারায়ণগঞ্জে নিহত ব্যক্তির মরদেহের পাশে স্ত্রীর আহাজারি। ছবি : এনটিভি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হত্যা মামলার আসামিকে আটক করতে গেলে র‍্যাবের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেন র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা। অপরদিকে এ ঘটনায় আব্দুল কাশেম নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তার স্ত্রী রমিজা বেগম অভিযোগ করেছেন, সিভিল পোশাকে একদল অস্ত্রধারী নিজেদের র‍্যাব পরিচয় দিয়ে তার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেছে।

গতকাল শুক্রবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বরগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হুমায়ুন কবির নামে আরও একজন আহত হয়েছেন।

নিহত আবুল কাশেম ওই এলাকার প্রয়াত কদম আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন বাঁশ-বেতের হস্তশিল্পী। তার পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে হুমায়ুন কবিরসহ আহত র‍্যাব সদস্যদের পরিচয় জানা যায়নি।

নিহত ব্যক্তির ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, তাদের গ্রামের ২৫ জনকে আটক করে নিয়ে গেছে র‍্যাব।

নিহতের স্ত্রী রমিজা বেগম বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে আমি ও আমার স্বামী বাড়ির পাশে চিৎকারের শব্দ শুনতে পাই। সেখানে গিয়ে দেখি শার্ট ও গেঞ্জি গায়ে একদল লোক সেলিম নামে পোশাক কারখানার এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সেলিম কান্নাকাটি করছে। এসময় ওই লোকদের কাছে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে সাদা পোশাকধারীরা লাঠি দিয়ে আঘাত করে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। মারধরের পর আমার স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে চেঁচামেচি করেন এবং সাদা পোশাকধারীদের গালাগাল দেন। এ সময় সাদা পোশাকধারীদের একজন নিজেদের র‍্যাব পরিচয় দিয়ে তার পেটে গুলি করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।’

সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন সিজান বলেন, ‘রাত ৩টা ১০ মিনিটে মো. দ্বীন ইসলাম নামে একজন ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরীক্ষা করে জানা যায় হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। তার নাভির ওপরে একটি বুলেটের চিহ্ন আছে। হাসপাতালে ভর্তি করার সময় দ্বীন ইসলাম নিজেকে বৃদ্ধের ছেলে পরিচয় দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে র‍্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, ‘সোনারগাঁয়ে এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার হয়েছে শুক্রবার। এ ঘটনার মূল সন্দেহভাজন আসামি সেলিমকে আটক করতে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। আসামিকে আটক করে নিয়ে আসার সময় আমাদের ওপর হামলা করে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে র‍্যাব বাধা দেয়। এসময় তারা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে র‍্যাবের ওপর হামলা চালায়। এতে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আসামিকে আটক করে আমরা নিয়ে আসি। শনিবার সকালে আমরা জানতে পারি একজন মারা গেছেন। তবে, তিনি কীভাবে মারা গেছেন তা আমরা নিশ্চিত না। এ ঘটনায় আমাদের চার র‍্যাব সদস্য আহত হয়েছেন।’