আড়াই মাস ধরে রওশন এরশাদ সিএমএইচে, নিস্তেজ অবস্থা

Looks like you've blocked notifications!
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ প্রায় আড়াই মাস ধরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন আছেন। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোনো ‘উন্নতি নেই’। চিকিৎসকদের অনুমতি পেলে তাঁকে বিদেশে নিয়ে যেতে চায় পরিবার ও দল। 

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের এসব কথা বলেন। বেগম রওশন এরশাদের রোগমুক্তি কামনায় চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ের মিলনায়তনে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হয়। সেখানেই তিনি এ কথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিরোধী দলীয় নেতার ব্লাড প্রেসার ও হার্টবিট ভালো আছে। কিন্তু তিনি নিস্তেজ অবস্থায় আছেন। চিকিৎসকরা বলেছেন, রওশন এরশাদ মূলত বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছেন। তাঁরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’

জি এম কা‌দের বলেন, ‘বেগম রওশন এরশাদ বর্তমানে সিএমএইচ হাসপাতা‌লের আইসিইউতে চি‌কিৎসাধীন র‌য়ে‌ছেন। কিছ‌ু‌দিন আগে ‌কিছুটা সুস্থ হ‌লে তাঁ‌কে হাসপাতা‌লের কে‌বি‌নে স্থানান্তর করা হয়েছিল। কিন্তু পরে আবার আইসিইউতে নেওয়া হয়। মহান আল্লাহর কা‌ছে বি‌রোধী ‌দলীয় নেতার দ্রুত রোগমু‌ক্তি কামনা করছি।’

এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ আমাদের। দীর্ঘ দিন ধরেই হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এদেশে ভাই-ভাই হিসেবে বসবাস করেছে। কখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে দেশের সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে।

জি এম কাদের বলেন, একটি মহল অপচেষ্টা চালাচ্ছে সম্প্রীতির দেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানাতে। বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে চাচ্ছে। হিন্দুদের বাড়ি-ঘর ও পূজামণ্ডপে হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতায় মনে হচ্ছে, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাজে ঘাটতি আছে।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাপার কো-চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, অ‌্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সংসদ সদস্য নাজমা আখতার, জহিরুল ইসলাম জহির, ক্বারি হাবিবুল্লাহ বেলালী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের, সেলিম উদ্দিন।

উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ড. নুরুল আজহার শামীম, মনিরুল ইসলাম মিলন, আমানত হোসেন আমানত, হারুন অর রশীদ, হেনা খান পন্নি, ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা রানী, শফিকুল ইসলাম শফিক, শফিউল্লাহ শফি, শাহরিয়ার আসিফ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. আমির হোসেন ভূঁইয়া, ফখরুল আহসান শাহজাদা, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হুমায়ুন খান, আনোয়ার হোসেন তোতা, সাইফুদ্দিন খালেদ, সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, মো. আনিস উর রহমান খোকন, কাজী আবুল খায়ের, সুলতান মাহমুদ, এম এ রাজ্জাক খান, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, মোস্তাফিজুর রহমান আকাশ, গোলাম মোস্তফা, মিজানুর রহমান মিরু, যুগ্ম সম্পাদকমণ্ডলী দেলোয়ার হোসেন মিলন, জাকির হোসেন মৃধা, শারমীন পারভিন লিজা, আব্দুস সাত্তার গালিব, মামুনুর রহিম সুমন, মাহমুদ আলম, সমরেশ মণ্ডল মানিক, হাফেজ ক্বারি মাওলানা ইসারুহুল্লাহ আসিফ, মীর সামছুল আলম লিপটন, শেখ মো. শান্ত, কেন্দ্রীয় নেতা সাজ্জাদ পারভেজ, আবু সাঈদ স্বপন, শফিকুল ইসলাম দুলাল, মো. জাকির হোসেন, আলমগীর কবীর মজুমদার, শেখ সারোয়ার হোসেন, তাসলিমা আকবর রুনা, জেসমিন নূর প্রিয়াংকা, আলাউদ্দিন আহমেদ, ফারুক শেঠ, এ এন এম রফিকুল আলম সেলিম, মো. আলমগীর হোসেন, জিয়াউর রহমান বিপুল, পেয়ারুল হক হিমেল, ইঞ্জিনিয়ার এলাহান, রমজান আলী ভূঁইয়া, মোখলেছুর রহমান বস্তু, আশিক আহমেদ প্রমুখ।