ইঁদুর মারার ওষুধ খাইয়ে শিশু হত্যার অভিযোগে মায়ের মৃত্যুদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জে শিশু মেয়েকে হত্যার অপরাধে মা আছমা আক্তারকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। ছবি : এনটিভি

ইঁদুর মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট খাইয়ে শিশু মেয়েকে হত্যার অপরাধে মা আছমা আক্তারকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১। আজ রোববার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে আদালতের বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ১-এর পিপি অ্যাডভোকেট এম এ আফজাল রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের পূর্বচরপাড়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে আছমা আক্তার তাঁর তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া মেয়ে শিউলি আক্তার মায়াকে জোর পূর্বক ইঁদুর মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট খাইয়ে ও গলায় ইয়ারফেনের তাঁর পেচিয়ে হত্যা করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়নের পূর্বচরপাড়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার মেয়ে আছমা আক্তারের প্রথম স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তাদের সংসারে একটি মেয়ে সন্তান ছিল। পরে  ২০১৭ সালে গাজীপুর জেলার এক যুবকের সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে হয়। কিন্তু দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি বাবার বাড়িতেই বসবাস করে আসছিলেন। ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মা-বাবাসহ স্বজনদের সঙ্গে কলহে লিপ্ত হন। কলহের এক পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়া নিজের মেয়ে মায়াকে জোর করে একটি ইঁদুর মারার বিষাক্ত ট্যাবলেট খেতে বাধ্য করেন। আরেকটি বিষাক্ত ট্যাবলেট খাওয়ানোর সময় স্বজনরা বাধা দিলে তা উপক্ষো করে মেয়ের গলায় ইয়ার ফোনের তাঁর পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করলে সে গুরুতর আহত হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহত নানা সুরুজ মিয়া বাদী হয়ে মেয়ে আছমা আক্তারকে একমাত্র আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট আছমাকে একমাত্র আসামি দেখিয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।